বাংলাদেশে ক্লাউডস্পোক ডটকমের কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে মিট দা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে ক্লাউডস্পোক এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের মুল বক্তা এবং এপ্রিও ইনকরপোরেশন, আমেরিকা ও ক্লাউডস্পোকস এমভিপির সলিউশন আর্কিটেক্ট দাস নোবেল।
তিনি শুরুতেই ক্লাউড কম্পিউটিং কি, ভবিষ্যতে এর ব্যবহার কেমন হতে পারে একই সঙ্গে বাংলাদেশে এ খাতের সম্ভাবনা কতটুকু এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যচিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল এ দেশের জনসংখ্যা তারণ্যনির্ভর।
আর ভবিস্যৎ হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিংনির্ভর। তাই এখনই যদি দেশের এ তরুন প্রজন্মকে এ প্লাটফর্মে দক্ষ করে তোলা যায় তবে একদিকে যেমন দেশে আইসিটিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। অন্যদিকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারবেন।
ক্লাউডস্পোকস হচ্ছে এপ্রিও ইনকরপোরেশন, সানফ্রান্সিসকো আমেরিকার একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। অর এপ্রিও হচ্ছে ক্লাউড সমর্থিত মধ্য আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান। এর সেলসফোর্স, গুগল অ্যাপস ওয়ার্ক ডে নিয়ে কাজ করে থাকে
এ প্রসঙ্গে দাস নোবেল সংযুক্ত করেন, এ মুহূর্তে এ সমাজে ৭৫ হাজার সদস্য বা ক্লাউড এক্সপার্ট আছে। ২০১৩ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে
বাংলাদেশের তরুণ প্রোগ্রামাররা ক্লাউড কম্পিউটিং এ সবোর্চ্চ মান বজায় রেখে এ প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাড় করাতে সক্ষম হবে। ক্লাউডস্পোকস ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে অংশীদারিত্ব এ কার্যক্রমকে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে একটি প্রতিষ্ঠানকে যদি প্রযুক্তিবান্ধব করতে হয়, তবে এ প্রতিষ্ঠানকে শুধু এ লক্ষ্যে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় অবকাঠামো তৈরিতে, সফটওয়্যার তৈরিতে এবং তা পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হয়।
এর ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না। ক্লাউড কম্পিউটিং এ ধারনা পাল্টে দেবে।
ভবিষ্যতে একটি প্রতিষ্ঠান যদি প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে চায়, তাহলে ক্লাউড কম্পিউটিং থেকে সে প্লাটফর্ম পাবে, ব্যবহারে পাবে আ্যপলিকেশন। শুধু আ্যপলিকেশনগুলো ব্যবহারের জন্য দক্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে নিতে হবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আগ্রহী সব প্রতিষ্ঠানই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবে কোনো প্রকার বাড়তি বিনিয়োগ ছাড়াই। এতে দক্ষ লোকদের কর্ম সংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
ক্লাউডস্পোক ডটকম মুলত একটি ওয়ার্কপ্লেস। এ ওয়ার্কপ্লেসে সমাধানে প্রচুর সমস্যা দেয়া থাকে। আগ্রহীরা বিনামূল্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এ সমাধানে জয়ী হলে ৫০০ থেকে ২ হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। আর সেলসফোর্স হল ক্লাউড আ্যপলিকেশন প্লাটফর্ম। এখান থেকে ব্যবহারের জন্য আ্যপলিকেশন তৈরি করা যায়।
নোবেল জানান, তিনি যে শুধু ক্লাউডস্পোককে এ দেশে প্রমোট করতে এসেছেন তা নয়। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ওপর দক্ষ জনশক্তি তৈরিতেও সমানভাবে মনোনিবেশ করবেন।
এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিডিপি ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশে অবস্থিত তার আরেকটি প্রতিষ্ঠান এমটিএক্সয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে উৎসাহিত করার সঙ্গে দক্ষ করে তুলতে অফলাইন ও অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
এ ছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের নামে বৃত্তি দেওয়ার কার্যক্রমও দেওয়া হবে। এমনটাই জানালেন দাস নোবেল।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান