ঢাকা: বাংলা ভাষা নিয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে অনেকগুলো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রজেক্ট হিসেবে কাজ শুরু করলেও নিজেদের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে তারাবেশ আশাবাদী । তাদের তৈরি এই অ্যাপ্লিকেশনটি বাংলা লেখা চিহ্নিত করতে পারে ও চিহ্নিত লিখাটি প্রদর্শন করার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি অনুবাদ ও দেখিয়ে দেয়।
নির্মাতাদের একজন মাহবুব উজ-জামান এর কাছে তাদের এই অ্যাপ্লিকেশন কীভাবে কাজ করে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধরুন একজন মানুষ বিদেশে গিয়ে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে এবং সে সাইন বোর্ড পড়ে কিছু বুঝতে পারছেন না কারন তা অন্য ভাষায় লেখা। বাংলাদেশে এমন অনেক বিদেশী পর্যটক আসেন বিভিন্ন সময় এবং অনেকেই এমন ঝামেলায় পরে থাকেন। রাস্তা, রেস্তোরা, বাজার, স্টেশন সহ অনেক জায়গাতেই এমন অসহায় অবস্থায় পরতে হয় এদেশে আসা অতিথীদের ।
কিন্তু এমন অসহায় মুহূর্তে এই অ্যাপ্লিকেশনটি সাহায্য করতে পারে । কারণ এটি বাংলা লেখাগুলো মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে ইনপুট হিসেবে নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই ইংরেজি অনুবাদসহ দেখাতে সক্ষম।
এই অ্যাপ্লিকেশনটি বানাতে তারা ব্যবহার করেছেন অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকংনাইজার, গুগল ট্র্যান্সলেট এপিআই এবং ওপেন সোর্স এয়ান্ড্রইড ওসিআর । এত ডাইভারসিটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আটকে যেতে হয়েছে। কিন্তু তারা হাল ছাড়েননি। দীর্ঘ সাত মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেই তাদের এই প্রোজেক্টটি আজকের এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে । তারা তাদের এই সাফল্যের পেছনে তাদের প্রজেক্টের সুপেরভাইজার প্রফেসর ডঃ মুমিত খান এর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ এর এই কাজটাকে তানজিনারা পথচলার শুরু হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এটা মূলত বিদেশে ভ্রমণরত মানুষের কথা বিবেচনা করেই বানানো হয়েছে। এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য বিদেশী অতিথীদের বিভিন্ন দেশের ভাষা বুঝতে সাহায্য করা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাংলা শব্দ চিহ্নিত করার ও ইংরেজিতে অনুবাদের সুবিধা রাখা হয়েছে। ভবিষ্যৎ এ অন্যান্য ভাষা এতে যোগ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১২
প্রতিবেদন: এম রেজাউর রহমান/ সম্পাদনা: শিমুল সুলতানা, নিউজরুম এডিটর