বর্তমান হিসাব অনুসারে টুইটারে সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা এখন ২০ কোটি। মাত্র ৯ মাসে সামাজিক এ সাইটে নতুন করে যোগ দিয়েছে ৬ কোটি গ্রাহক ফলে এ মুহুর্তে গ্রাহক বেড়ে দাড়িয়েছে ২০ কোটিরও বেশি।
এছাড়া এ বছরের মার্চে টু্ইটের সংখ্যাও পর্যবেক্ষণ করে টুইটার। যখন তারা জানিয়েছিল প্রতিদিন প্রায় ৩৪ কোটি টুইট প্রকাশ হয় এ মাধ্যমটিতে। আর যে সংখ্যা প্রতিদিনের হিসাবে এখন ৪০ কোটি।
কিন্তু সকলেরই জানা হিসেবে জনপ্রিয় মাধ্যমটির সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুঁয়া এবং অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট। যার অস্তিত্ব নির্মূল করা সম্ভব হয়নি এখনও। উল্লেখ্য, মে মাসে টপচার্ট টুইটারের সবশেষ ১০০ মিলিয়ন অ্যাকাউন্টের উপরে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত যারা সাইন আপ করেছিল সেইসব অ্যাকাউন্টের কার্যবিধি নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। এসময় ২০.২ শতাংশ নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট অব্যবহৃত থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটিত হয় । দেখা যায় ঐসব অ্যাকাউন্ট থেকে একটিও টুইট করা হয়নি আবার একজন ব্যবহারকারীকেও খোজ করা হয়নি। আর ১৮.৫ শতাংশ অ্যাকাউন্ট অকার্যকর করা হয় মাত্র ৩ মাসে।
এ ধরনের সমস্যা থাকা সত্বেও টুইটার ২০ কোটি সক্রিয় গ্রাহকের মাইলফলক ধরার ঘোষণা দিল। টপচার্ট তাদের হিসাবে দেখাচ্ছে টুইটারের নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট আছে ৬৪ কোটির মত। অন্যদিকে ফেসবুকের সফলতার সাথে তুলনা দিয়ে বলা হচ্ছে টুইটারের সক্রিয় ব্যবহারকারী ফেসবুকের সমতুল্য হতে বহুপথ যেতে হবে।
কারণ মাসিক হিসাব অনুসারে তাদের গ্রাহক ১০০ কোটির উপরে। আর গুগল প্লাসও পিছিয়ে নেয় কেননা এরইমধ্যে তারা ঘোষণা দিয়েছে তাদের সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ১৪ কোটি। যার মধ্যে ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী সেপ্টেম্বর থেকে (মাত্র ৩ মাসে) যোগ দিয়েছে।
মাসের হিসাবে গুগল প্লাসের সাথে টুইটারের সক্রিয় ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হিসাব করলে দেখা যায় গুগল প্লাসের অগ্রগিত অনেক কারণ ৩ মাসে তাদের ব্যবহারকারী ১ কোটি ১০ লক্ষ ৭০ হাজার অন্যদিকে ৯ মাসে টুইটারে এসেছে ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার।
বিশেষজ্ঞদের মতে যদি এই মাত্রা বজায় রাখতে পারে তবে অচিরেই গুগল প্লাস এবং টুইটারের অ্যাকিটভ ইউজার প্রায় ৩০ কোটির আশপাশে হবে । সেইসাথে প্রায় ৫০ লাখ বেশি গ্রাহক নিয়ে এগিয়ে থাকবে গুগলপ্লাস এমনও ধারণা করছে তারা।
বাংলাদেশ সময় ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১২