২০১২ সাল শুরু থেকেই স্মার্টফোনের জয়জয়কার। আর তার প্রমাণও মিলল বছরে শেষে।
প্রসঙ্গত, এতে ১৪ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণে রাখা ফিনল্যান্ডভিত্তিক নির্মাতা নকিয়ার রাজত্বে ছন্দপতন এল। বছরজুড়ে ব্যবসা আর ব্র্যান্ড ভ্যালুর তোড়ে এবার অ্যাপল আর নকিয়া পিছে পড়ল স্যামসাংয়ের। আইএইচএস আইসাপ্লাই সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বিশ্বের স্মার্টফোনের শতকরা ২৪ ভাগ নিয়ন্ত্রণে রাখে স্যামাসং। কিন্তু ২০১২ সালে গ্যালাক্সির প্রবৃদ্ধিতে তা ২৯ ভাগে পৌঁছে যায়। এ তুলনায় অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণ ৩০ থেকে নেমে ২৪ ভাগে এসে দাঁড়ায়।
এ হিসাবে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার এ নির্মাতা সুদীঘ রাজত্বের অধিকারী নকিয়াকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায়। আইএইচএস সূত্র এ অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
শুধু নকিয়াকে নয়, অ্যাপলকেও কিঞ্চিত ব্যবধানে পাশ কাটিয়ে যায় স্যামসাং। ২০১১ সালে স্মার্টফোনের শতকরা ২০ ভাগ নিয়ন্ত্রণকে ২০১২ সালে ২৮ ভাগে টেনে নেয় স্যামসাং। এদিকে অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণও বাড়ে ২০১২ সালে। কিন্তু তা আশানুরুপ নয়। অঙ্কের সংখ্যায় তা ১৯ থেকে ২০ ভাগে অর্থাৎ এক ভাগ উন্নীত হয়।
এ প্রসঙ্গে আইএইচএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক ওয়েনি ল্যাম জানানা, ২০১২ সাল স্মার্টফোনে বিকাশে ইতিহাস হয়ে থাকবে। বছরের পুরোটা সময়জুড়েই এ শিল্পে চলেছে টানটান উত্তেজনা। আর তা ভোক্তাদের জন্য ছিল বিভ্রান্তিকর এবং উত্তেজনাপূর্ণ।
২০১২ সালে স্মার্টফোন এত দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে তা বলাই বাহুল্য। স্যামসাংয়ের সাফল্য, নকিয়ার বিপথগামী পথচলা আর অ্যাপলের আসি আসি বলে না আসা সব কিছুই ছিল দারুণ উপভোগ্য। সঙ্গে ইতিহাসের এদিক-সেদিকও হয়েছে খানিকটা। তবুও স্মার্টফোনের ভাগ্যদেবতা ২০১২ সালকে বিশেষ আর্শীবাদই করেছে। নইয়ে তো এমনটা হওয়ার কথা ছিল না।
সব মিলিয়ে ২০১২ সালের স্মার্টফোন চালানে প্রবৃদ্ধি এসেছে ৩৫.৫ ভাগ। আর ২০১১ সালের ৩৫ ভাগ চালান ২০১২ তে এসে ৪৭ ভাগে উন্নীত হয়। উদ্ভাবনী উত্তেজনা, টানটান প্রতিযোগিতা আর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে স্মার্টফোনের বছর হয়ে থাকবে ২০১২। এমনটাই বলছেন বাজার গবেষক আর সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ সময় ২১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১২