অনলাইনে মিউজিক বিক্রির ব্যবসায় অ্যাপলই সেরা। এ সত্যটা এখন গুগল বুঝতে পেরেছে।
এ মুহূর্তে এ সেবা দিতে অ্যাপল বার্ষিক ২৫ ডলার সেবাব্যয় নিচ্ছে। এ সেবার মাধ্যমে নিজের পছন্দের সব গানই গুগল মিউজিক স্টোরে সংরক্ষণ করা যাবে। ইচ্ছামতো যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে তা শোনা যাবে যেকোনো সময়। এতে আপলোডের ঝামেলামুক্ত হবেন সঙ্গীতপ্রেমীরা।
একই ধরনের সেবা অ্যাপল আইটিউনসের মাধ্যমে দিচ্ছে। এতে ২৫ হাজার গান সংরক্ষণে রাখা সম্ভব। এর বিপরীতে গুগল দিচ্ছে ২০ হাজার গান স্টোর করার ফ্রি সুবিধা। এ ছাড়াও রি-ডাইনলোডের বাড়তি সুবিধাও পাওয়া যাবে।
এদিকে অ্যামাজনও একই ধরনের সেবা দিচ্ছে ক্লাউড প্লেয়ারের মাধ্যমে। এ সেবার আওতায় ২৫ ডলার সেবাব্যয়ে আড়াই লাখ গান সংরক্ষণ করা সম্ভব। এর ফ্রি সংস্করণে আছে মাত্র ২৫০টি সংরক্ষন সুবিধা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের নভেম্বরে মিউজিক স্টোর সেবার কথার জানান দেয় গুগল। কিন্তু এ পর্যন্ত চমকে দেওয়ার মতো কোনো সেবাই ভোক্তাদের সামনে উপহার দিতে পারেনি গুগল। কিন্তু এবারে গুগল সত্যিই ঘুঁরে দাড়ানোর মতোই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর এ অনলাইন সঙ্গীত লড়াইটা জমতে যাচ্ছে গুগল আর অ্যাপলের মধ্যে।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৬৪ ভাগ অনলাইন সঙ্গীত বিপণন নিয়ন্ত্রণে রেখেছে অ্যাপল। আর বাকি ১৬ ভাগ আছে অ্যামাজেনর হাতে। এক্ষেত্রে গুগলের দখল মাত্র ৫ ভাগ। বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এনপিডি সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
এ ছাড়াও গুগল একেবারেই নামমাত্র মূল্যে সঙ্গীত বিক্রির মহপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এটা অবশ্যই অ্যাপল আর অ্যামাজনের তুলনায় বাজার প্রতিযোগিতায় কম হবে। অর্থাৎ অনলাইনভিত্তিক এ সেবা পাওয়া যাবে একেবারেই কমমূল্যে।
তাই ২০১৩ সালের শুরুতেই অ্যাপল আর গুগল লড়াইটা জমজমাট হবে। আর তাতে সুফলটা যাবে সঙ্গীত ভোক্তাদের অনুকূলেই। তাই বলতেই হয় জয়তু গুগল। জয়তু অ্যাপল।
বাংলাদেশ সময় ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১২