ঢাকার এলিফ্যান্ট রেডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারের ডিজিটাল আইসিটি প্রদর্শনীর পর্দা নেমেছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ফয়েজুল্যাহ খান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা সেক্টরের কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য ও এলিফ্যান্ট রোড ব্যবসায়ীদের উপদেষ্টা মোস্তফা মহসীন মন্টু অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে কথা বলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ও মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহেসান। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম হাজারি, এসএম আনোয়ার আয়ুব, প্রদর্শনীর সদস্য সচিব সুব্রত সরকার এবং ইসিএস সভাপতি আমীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবসার সূতিকাগার হিসেবে এলিফ্যান্ট রোড সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এখান থেকেই কম্পিউটারের খুচরা বিক্রি শুরু হয়। সবচেয়ে বেশি কম্পিউটারও এখানেই বিক্রি হয়ে থাকে। এ কারণে এ অঞ্চলকে আইসিটি জোন হিসেবে ঘোষণার জোরালো দাবি জানানো হয়।
এ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মোস্তফা জব্বার বলেন, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে প্রদর্শনীর সূচনা হয় তার হাত ধরে। ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ঋণ পেলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা সারাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার ঘটাতে পারবে।
প্রসঙ্গ, এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সাড়ে পাঁচশ দোকান ছাড়াও এখানকার ২৬টি মার্কেটে মোট ১ হাজার ২০০ তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক দোকান আছে । তাই এ এলাকাকে আইসিটি জোন ঘোষণার দাবিকে সমর্থন করেন তিনি।
দেশে আইসিটি মন্ত্রণালয় থাকলেও এর সমান্তরালে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এটুআই প্রকল্প থাকায় এ মন্ত্রণালয় ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। এ বিষয়ে সমন্বয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মোস্তফা জব্বার।
এ ছাড়া স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইয়ে কম্পিউটার বিষয়ে পাঠ্যক্রম লেখা থাকলেও ল্যাব নেই। ল্যাব ছাড়া কম্পিউটার পড়ানো চোখহীন সুস্থ মানুষ তৈরির চেষ্টার সমান। তিনি এ বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আইসিটিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ ব্যবসায়ী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের দাবির প্রেক্ষাপটে এলিফ্যান্ট রোডকে আইসিটি জোন হিসেবে ঘোষণা দেন। অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে একটি আইসিটি প্রদর্শনীতে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা গুরুত্ব বহন করে।
মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার আয়োজিত ডিজিটাল আইসিটি প্রদর্শনীতে ‘বি দ্য চেঞ্জ, স্টার্ট দ্য গ্রিন নাও’ বার্তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কেও তিনি আলোকপাত করেন।
তিনি আইসিটি সেক্টরের সফল ব্যবহারের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন। তিনি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময় ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান