বিশ্বের গেমপ্রেমীদের কাছে সনির গেমপণ্য প্লেস্টেশনের নাম অজানা নয়। এক কিংবা দুই বছরের কথা নয়।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে প্রথম বাজারে আসে সনির প্লেস্টেশনটু। একে একে ১২ বছরে বিশ্বব্যাপী ১৫ কোটি ইউনিট বিক্রির রেকর্ড গড়েছে এ গেমপণ্য। এর আগে এককভাবে কোনো ঘরোয়া পণ্যের এ পরিমাণ বিক্রির রেকর্ড নেই। এ পণ্য শুরু থেকেই গেমপ্রেমীদের ডিজিটাল উন্মাদনায় মাতিয়ে রেখেছে।
প্লেস্টেশনের সবশেষ সংস্করণ ২০১১ সালে ১০ হাজার গেম ছাড়াও এ পর্যন্ত ১৫০ কোটি গেম বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। একে প্লেস্টেশনটুর অন্যতম সাফল্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্লেস্টেশনটুয়ের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কাছে ডিজিটাল গেম আরও ঘরোয়া এবং উপভোগ্য হয়ে ওঠে। আগে গেম খেলতে হলে থ্রিডি থিয়েটার হাউজে গিয়ে খেলতে হতো। কিন্তু প্লেস্টেশনের আর্বিভাবে এ সীমাবদ্ধতা একবারেই কেটে যায়। টম্ব রেইডার এবং হিটম্যান গেমের অন্যতম ডিজাইনার আন্না মারস এমন কথাই তুলে ধরেন।
দৃষ্টিনন্দন অবয়ব, আকর্ষণীয় গেম এবং সময়ের উত্তেজনায় সনি এ গেমপণ্য ভোক্তাদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এরপর ডিভিডি প্লেয়ারের মাধ্যমে মেশিনের নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে গেম চলে আসে হাতের মুঠোয়।
এ মুহূর্তে সনির প্লেস্টেশনটুয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নিনতেনদোর গেমকিউব এবং সেগার ড্রিমকাস্ট আছে একেবারে শীর্ষে। এসব গেমপণ্যের মাধ্যমে গ্রান্ড থেফট অটো থ্রি, ফাইনাল ফ্যান্টাসি এবং মেটাল গিয়ার সলিডের মতো গেমগুলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়ে উঠে।
সব মিলিয়ে একটানা ১২ বছরের সুদীর্ঘ রাজত্বের পর প্লেস্টেশনটুয়ের উৎপাদনে যবানিকা পতন হলো। এতে গেমপ্রেমীদের অসন্তুষ্টি যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয়। তবুও সময়ের প্রয়োজনেই সনির এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৩