ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “স্মার্টফোনকে আরও সহজলভ্য করতে হবে। স্মার্টফোনের জন্য বাংলা কনটেন্ট তৈরিতে বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের স্মার্টফোন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীম, মেলার সমন্বয়ক বিপ্লব ঘোষ রাহুল ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার দুই অবদান হলো- যুব সমাজের হাতে বই তুলে দেয়া ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করা। উন্নয়ণের মহাসড়কে এই দুটি বিষয় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। যারা এর বিপক্ষে কথা বলেন তারা দেশকে অন্ধকারে রাখতে চান। ”
দেশের প্রশাসনের অনেকেই এখনও ‘অ্যানালগ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রশাসনের অ্যানালগদের ডিজিটাল করতে যুব সমাজের সহযোগিতা দরকার। যুব সমাজের আওয়াজ তুলতে হলে কম দামে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা দিতে হবে। ”
মন্ত্রী বলেন, “অতি সম্প্রতি ২০ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এখনো কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ”
আগামী ২ বছরের মধ্যে যারা তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞান রাখবেন না, তারা পিয়নের চাকরি পাবারও যোগ্যতা রাখবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইনু আরও বলেন, “বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি পাঠাতে না পারলে বিদেশে আমাদের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিদিনই প্রসারিত হচ্ছে। ”
এখন র্স্মাটফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের যুগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মানুষ ক্রমাগত উন্নতি করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ডেস্কটপের ব্যবহার কমে যাবে। ”
সংবিধানে ইন্টারনেটের অধিকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশবাসীকে আহবান জানাবো তারা যাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পাবার অধিকার নিয়ে সোচ্চার হন। খাদ্য অধিকার ও ইন্টারনেট পাবার অধিকার সবার আছে। শুল্কনীতি নিয়ে ভাবতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির উপকরণে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত। ”
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৩
এমআইআর/এআই/সম্পাদান: জনি সাহা ও হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর