দেখতে কাগজের মত হলেও জিনিসটি ট্যাবলেট কম্পিউটার। বাঁকানো, ভাঁজ দিয়ে পকেটে বহন করা যাবে এটি।
যদিও স্যামসাং ২০১১ সালে এই একই ইভেন্টে ফিউচারিস্টিক ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। কিন্তু এখনও অত্যাধুনিক পযুক্তি তাদের পরিকল্পনাধীনেই আছে। তাই পরপর দুই প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শিত অভঙ্গুর ডিসপ্লের সাক্ষ্য হলো সিইএস ২০১৩।
চরম বিস্ময়কর পণ্যটি কবে আসছে দাম কত হবে এসব বিষয়ে তারা কিছুই জানায়নি। শুধুমাত্র এর বহুক্ষমতার কার্যবিধি, সুবিধা দেখানো হয়।
পেপারট্যাব নামের এ পণ্যের আকার ১০.৭ ইঞ্চি যাতে উচ্চক্ষমতার প্লাস্টিক পর্দা ব্যবহার হয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান সাথে আছে ইন্টেল এবং কানাডার কুয়িন ইউনিভার্সিটি সংগঠনটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিকল্পনাকারী। তাদের দাবি এটি নমনীয় ফলে ব্যবহারকারী অসাধারণ কিছু সুবিধা উপভোগ করবে কেননা নমনীয় বলে মোচড়ানো ভাঁজ দেওয়া, সুবহনীয় হবে। ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এমন নিশ্চিত তথ্য দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, পেপারট্যাব ঠিক পেপার শিটের মত ব্যবহার এবং ম্যাগাজিন পড়ার মত অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে বলে জোর দাবি করা হয়। এছাড়া প্রচলিত ট্যাবের ডিসপ্লের তুলনায় এটা অত্যাধিক চিকন এবং হালকা।
প্রদর্শনকালে কয়েকটি পেপারট্যাব কনটেন্টের ব্যবহারবিধি দেখানো হয়। যা সুস্পষ্ট করে পারস্পরিক একাধিক ক্রিয়া ছাড়াও পণ্যটি কতটা আয়েশের হবে।
তাদের মতে, পেপারট্যাব কার্যত পেপার এবং ট্যাবলেটের মধ্যে সেতুবন্ধনের দিকটি কিঞ্চিত প্রতীয়মান করছে। তাই প্রযুক্তিপ্রেমীরা এর প্রয়োজনীয় দিকগুলো বিবেচনায় নিলে প্রিন্টআউটের সংখ্যা কমে আসবে।
উল্লেখ্য, এ পেপারট্যাবের পরিকল্পনা এখনও চলমান যেহেতু ফিউচারিস্টিক প্রযুক্তি তাই অসারণভাবে পণ্যটি বাস্তবায়ন করে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে প্রবেশ করার প্রয়াস রয়েছে সংগঠনটির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘন্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩