অবশেষে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশে ইউটিউব দেখা যাচ্ছে। তবে ভিডিও সম্প্রচারে এখনও কিছুটা সমস্যা আছে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির সহকারি পরিচালক (পিআর অ্যান্ড পাবলিকেশন) জাকির হোসের খান বাংলানিউজকে বলেন, ইউটউব খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনও বিটিআরসি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কেন ইউটিউব দেখা যাচ্ছে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা যথাযথভাবে জানানো হবে বলেও তিনি বাংলানিউজকে অবহিত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আরও একবার ইউটিউব বন্ধ হয়। ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ নামে ঝড় তোলা বিতর্কিত মার্কিন চলচ্চিত্রটির অপপ্রচার আর এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার বিটিআরসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইউটিউব সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে।
বিশ্বের অনলাইন র্যাংকিং প্রস্তুতকারক অ্যালেক্সায় ডটকমের হিসাবে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনপ্রিয় সাইট ইউটিউব। ইন্টারনেটে ধীরগতি সত্ত্বেও তথ্য আর ঘটনার অনুসন্ধানে বাংলাদেশে ইন্টারনেটপ্রেমীদের কাছে এ সাইট অল্প দিনেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
নিউ মিডিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সক্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে ইউটিউবকে এখন আর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি সরকারের জন্যও এটি একটি অনন্য শক্তিশালী মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি, উন্নয়ন, ভালো উদ্যোগ, সম্ভাবনা, অর্জন এবং সমস্যার সচিত্র ভিডিও ইউটিউবে স্থান পেয়েছে। অর্থাৎ প্রবাসী বাঙালি এবং বিশ্ব দরবারে ইউটিউবের কল্যাণে বাংলাদেশ সমাদৃত হয়েছে। প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকেও হাজারো তথ্যচিত্র ইউটিউবে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৩