২০১২ সাল। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১১ সালেই ঘোষণা এসেছিল বছরটি হবে স্মার্টফোনের।
তবে অ্যাপল আর স্যামাসাং মিলেই সামলে নিয়েছে এ বাজারে অর্ধেকটা। এ বছর নাটকীয়ভাবে নকিয়ার সুদীর্ঘ রাজত্বের অবসান ঘটে। এগিয়ে যায় স্যামসাং। আরেকদিকে পণ্যের খরায় পিছিয়ে পড়ে অ্যাপল। তবে জয় হয়েয়ে স্মার্টফোনের।
বিশ্বব্যাপী বছরের সর্বোচ্চ পণ্য বিক্রির তালিকায় শক্ত অবস্থান করে নেয় স্মার্টফোন। বছরের ২০১২ সালের হিসাবে ৪৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে স্মার্টফোন। আর অঙ্কের ঘরে তা ৭০ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে ব্যবসা হিসাবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থের খোরাক জুগিয়েছে স্মার্টফোন। দ্রুত থেকে দ্রুততর করেছে ব্যবসায়িক গতিপ্রকৃতি। ব্যাপকভাবে বেড়েছে ইন্টারনেট নির্ভরতা। সহজে বহনযোগ্য হ্যান্ডেসেটে ইন্টারনেট প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের কারণে পিছিয়ে পড়েছে পিসি, নোটবুক আর নেটবুক। বিপরীতে শক্ত অবস্থানে চলে গেছে স্মার্টফোন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিনির্মাতা স্যামসাং বছর শুরুর আগেই ঘোষণা দিয়েছিল বাজারে তারা আলোড়ন সৃষ্টি করবে। এ ভবিষ্যৎ ঘোষণাটাও প্রমাণ করেছে স্যামসাং। বছরের ৩০ ভাগ স্মার্টফোনের বাজার দখলে নিয়েছে স্যামসাং। এদিকে বাজারের শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে অ্যাপল। আর একেবারে গুটিয়ে গেছে নকিয়া।
২০১২ সালে সব মিলিয়ে স্মার্টফোন বিক্রি ১৬০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিসংখ্যানে ৩০.৪ ভাগ স্যামসাংয়ের আর অ্যাপলের ১৯.৪ ভাগ মার্কেট শেয়ার ছিল। তাই অ্যাপল আর স্যামসাং মিলে অর্ধেকের বেশি বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
ই-মার্কেট গবেষক লিন্ডা সুই জানান, ২০১২ সালে স্মার্টফোনের বাজার চাঙ্গা করে এ বাজারে ব্যাপক প্রযুক্তি ভোক্তা তৈরি করতে অ্যাপল ও স্যামসাং সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এ বছরে স্মার্টফোনের বাজার আসছে গুগল, অ্যামাজন ছাড়াও বেশ কিছু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান।
বাজার সুসম্প্রসারণ, দ্রুত বিপণন চ্যানেল এবং আকর্ষণীয় পণ্য প্রোফাইল তৈরির কারণে স্যামসাং আর অ্যাপল বাজারে যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তা এ বছর আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। তাই স্মার্টফোনের লড়াইটা হবে আরও জমপেশ।
এ বছরের স্মার্টফোন বিক্রি কোটা শতকোটির ঘরকে ছাড়িয়ে যাবে। এমনটাই ইঙ্গিত করছে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি গবেষণামাধ্যম। সঙ্গে ইন্টারনেট গ্রাহকও যে শতকোটি বাড়ছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কারণ একটি স্মার্টফোন মাত্রই একজন সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহক।
বাংলাদেশ সময় ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৩