অ্যাপলের আইটিউনস স্টোরের গান বিক্রির সংখ্যা এখন ২৫০০ কোটি, অসাধারণ অর্জনে অ্যাপল অভিভূত। বিজয়ের দারে পৌছে দিয়েছে যেই ভাগ্যবান ক্রেতা তাকে ১০ হাজার ইউরো সমমূল্যের আইটিউনস গিফট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল।
সুত্র মতে, অনলাইন গানের ভুবনে ১০ বছর আগে যাত্রা করা আইটিউনস স্টোর এখন প্রতিযোগিতার ঠিক সম্মুখে অবস্থান করছে।
প্রতিদ্বন্দীদের মধ্যে আছে মাইক্রোসফট এক্সবক্স মিউজিক, অ্যামাজন , স্যামসাং এবং সম্প্রতিকালে এ মাধ্যমে যোগ দিয়েছে গুগল ছাড়াও আরো কিছু প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিশাল এই সংখ্যা অন্যদের জন্য উদ্বিগ্নকর বলে মনে করছে অনেকেই।
উল্লেখ্য, অনুসন্ধানে উঠে এসছে ‘মানকি ড্রামস’ মিউজিক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেকনো ব্যান্ড চেজ বুসের এ গানটি কিনেছিল জার্মানির ফিলিপ লুপকে। অ্যাপলের পক্ষ থেকে ফিলিপ পাচ্ছে আইটিউনস গিফট কার্ড হিসেবে সেরা পুরস্কার। যে পুরস্কার সর্বত্রেই বিশাল অঙ্কের যেমন ভারতীয় মূল্যে আসে ৭ লাখ ১৭ হাজার রুপি।
বর্তমানে বিশ্বের ১১৯ টি দেশে প্রাপ্তিসাধ্য আইটিউনস স্টোরের গানের সংখ্যা ২৮ মিলিয়ন ছাড়িয়ে। গ্রাহকরা শুধুমাত্র বৈধ পদ্ধতিতে আইডিভাইসের জন্য মিউজিক কিনে ডাউনলোড করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরো কিছু নির্দেশনা আছে যেমন যেসব ব্যবহারকারী একটি পণ্যের গান কিনতে যে আইডি ব্যবহার করেছে পুনরায় অন্যান্য পণ্যে সেই আইডি গ্রহণযোগ্য নয়। অ্যাপলের আইটিউনসে সার্বজনীন গানের সংখ্যা ২৮ মিলিয়নের বেশি আরও আছে ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ১ মিলিয়ন পডকাস্ট, ৪০ হাজার মিউজিক ভিডিও, ৩ হাজার টিভি শো, ২০ হাজার অডিওবুক এবং ৪৫ হাজার মুভি’। এছাড়া অ্যাপ স্টোরে অ্যাপস সংখ্যা ৭ লাখের উপরে।
অ্যাপল আরও জানিয়েছে, নতুন শিল্পীদের জন্য এটি অসাধারণ এক প্লাটফর্ম। কারণ লঞ্চপ্যাড নামের সেবা প্রদান করে আসছে আইটিউনস স্টোর। এখানে অঅনুমোদিত এবং স্বাধীন শিল্পীরা তাদের গান দিতে পারে। এছাড়া ব্যবহারকারীরাও এতে মন্তব্য প্রকাশের সুযোগ পাবে।
অ্যাপলের মতে, এ পরিকল্পনা অভূতপূর্ব নবাগতরা তাদের বুদ্ধিশক্তি প্রদর্শন করতে পারে এখানে।
বাংলাদেশ সময় : ১৯১০ ঘন্টা, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩