ঢাকার আগারগাঁওস্থ বিসিএস কম্পিউটার সিটির বার্ষিক আয়োজন সিটিআইটি এক্সপো ২০১৩ আসরের স্যামসাং ডিজিটাল ফটো কনটেস্টের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
এ অনুষ্ঠানে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের বাংলাদেশ ব্র্যাঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিএস মুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, সহ-সভাপতি মাযহারুল ইমাম সিনহা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্ত্যেবে সাহারা খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এরই মধ্যে পিএসটিএন গ্রাহকের সংখ্যা ৪ থেকে ৯ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের পরিসর ৩ থেকে ২৭ ভাগে এসেছে।
এরই মধ্যে সরকার সফলতার সঙ্গে ওয়াইফাই ইন্টারনেট লাইসেন্স দিয়েছে। দেশের শতভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। দেশের মোবাইল অপারেটদের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান আছে। অচিরেই এ বিষয়ে নিস্পত্তি হবে।
দেশের ৩টি পার্বত্য অঞ্চলকেও মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এক দেশে এক রেট এর আওতায় অভ্যন্তরীণ কলরেট প্রতিমিনিট ৩০ পয়সা করা হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের জন্য সাশ্রয়ী দামে ল্যাপটপ এবং নোটবুক তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার।
আজকের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিবান্ধব। একুশ শতকের চলমান ডিজিটাল আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে দেশের তরুণরাই মূল চালিকা শক্তি। আর তাদের হাতিয়ার আইসিটির আধুনিক সব পণ্য। এ জন্য দেশের আইসিটি পণ্যের প্রসারে এ মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এদিকে বিশেষ অতিথি স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের বাংলাদেশ ব্র্যাঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিএস মুন বলেন, বাংলাদেশ তারুণনির্ভর। এখানে তাই প্রযুক্তিপণ্যের চাহিদা বেশি। বাজারও সুসম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে ডিজিটাল পণ্য সরবরাহে স্যামসাং ক্যামেরা নিয়ে এসেছে। তিনি দেশের আইসিটি খাতে এ ধরনের প্রদর্শনীর গুরুত্ব তুলে ধরেন। এখন থেকে প্রতিবছর এ ফটো প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে স্যামসাং।
এদিকে বিসিএস কম্পিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ জানান জুয়েল বলেন, দেশে এখনও ডিজিটাল বৈষম্য বিদ্যমান। আর আইসিটি পণ্য এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এ দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব। ২০০৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ প্রদর্শনী দেশের আইসিটি ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখনকার ভার্চুয়াল সোসাইটি প্রতিদিনের জীবনে অনেক শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে।
বিসিএস কম্পিউটার সিটির সাবেক সভাপতি এটি শফিকউদ্দীন আহমেদ বলেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত। এ বাজারে দামে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আর ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ আসলে তা একটি বিশেষ সেল গুরুত্ব সহকারে তত্ত্বাবধান করে ক্রেতাসেবা নিশ্চিত করা হয়।
এ প্রদর্শনীতে বাংলালায়ন ৯৫০ টাকায় ওয়াইম্যাক্স ফোরজি প্যাকেজ অফার করছে। সঙ্গে ইন্টারনেট বান্ডেল অফার দেওয়া হচ্ছে। ২১ হাজার টাকায় নেটবুক, ৯ হাজার টাকায় ডিজিটাল ক্যামেরা আর ১১ হাজার টাকায় ট্যাবলেট পিসি পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৩