গুগল, ফেসবুক আর টুইটার এ ত্রিরথের দাপটে পুরো বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগই ধরাশায়ী। শুরুতে অলাভজনক আর সেবাধর্মী কার্যক্রম শুরু করলেই এখন চিত্রটা পুরোপুরি বিপরীত।
এরই মধ্যে গুগল এবং ফেসবুক বিশ্বের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এবার টুইটারও এ ধারায় নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করতে শুরু করেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
মাত্র ১৪০ শব্দের মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে ট্ইুটার এখন সামাজিক যোগাযোগের শীর্ষ গণমাধ্যম। ২০১৪ সালের মধ্যে মোবাইল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টুইটার ১০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এ মুহূর্তে ট্ইুটারের মূল বিজ্ঞাপনের ৫০ ভাগই আসছে মোবাইল বিজ্ঞাপনের বদৌলতে। ২০১৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৬০ ভাগ ছাড়িয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছে বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ই-মার্কেটার।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের মার্চ থেকে মোবাইল বিজ্ঞাপনের সূচনা করে টুইটার। আর এ লক্ষ্যে মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে ২০১৪ সালে ৯৫ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে এ লক্ষ্য ৮০ কোটি ডলার অনুমান করা হয়।
কিন্তু এরই মধ্যে ৫৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার আয় করে বসে টুইটার। আর শুধু আসে মোবাইল বিজ্ঞাপনের সূত্রে। এ কারণেই আসছে ২০১৪ সালে এ আয়ের সংখ্যা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সূত্র জানিয়েছে।
এ মুহূর্তে মাসিক ২০ কোটি সক্রিয় গ্রাহক আছে টুইটারের খতিয়ানে। এ ছাড়াও ফেসবুকের ঠিক পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টুইটারের অবস্থান। আসছে দু বছরে এ হালচিত্র আরও বদলে টুইটার এগিয়েও যেতে পারে। এমনটাও বলছেন গবেষকেরা।
স্মার্টফোন আর ট্যাবে সহজেই ইন্টারনেট সুবিধাভুক্ত হওয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তবে গুগল আর ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পরোক্ষভাবে টুইটারও তার গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ফেসবুক সূত্র জানিয়েছে, ২০১২ সালে মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আয় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এসে ২৩ ভাগ বেড়ে যায়।
মুনাফার হিসাবে তা ১৩৩ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এ হিসাবে সহজেই অনুমেয় ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৪ সালের অনলাইন এবং মোবাইল বিজ্ঞাপনে চাহিদা এবং বাজার দুটোই দ্বিগুণ হয়ে উঠছে। এটি অনলাইন মিডিয়াগুলোর জন্য এ সুখবর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৩