উন্নয়নশীল দেশগুলো কর ব্যবস্থাপনায় অনলাইন পদ্ধতির প্রচলন করে জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধিতে দারুণভাবে সফল। বাংলাদেশও এ খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে।
শনিবার ৪ মে ঢাকাস্থ বেসিস সম্মেলন কে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যচিত্র তুলে ধরেন বেসিসের শীর্ষ নেতারা। এ মুহূর্তে দেশের চলমান অর্থনৈতিক চাপ সামলাতে এখন রাজস্ব আদায় হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
দেশের বৃহৎ আকারের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভ্যাট ব্যবস্থাপনা অটোমেশন বাধ্যতামূলক এবং টিন সার্টিফিকেট পদ্ধতিতে পুরোপুরি অনলাইনমুখী করার দাবি জানায় বেসিস মুখপাত্ররা।
আসছে অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়াতে আরও গতিশীল এবং স্বচ্ছ করার উদ্দেশ্য অনলাইন পদ্ধতির প্রচলন এখন সময়ের দাবি।
সাবেক বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান চট্টগ্রাম বন্দর ভ্যাট অটোমেশন করার সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ২০০৮ সালে এ খাতে ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হত। কিন্তু এখন অনলাইন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ২২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে। শুধু অনলাইন সিস্টেম প্রবর্তনেই এখানে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হয়েছে।
এ পদ্ধতির সফল ব্যবহার জাতীয় প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব। এ ছাড়াও আগামী ৩ বছরে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট নিশ্চিত করা যাবে। এমনটা বাংলানিউজকে জানালেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শামীম আহসান।
এ প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা ভ্যাট পদ্ধতিকে অনলাইন সিস্টেমের প্রবর্তন করে জাতীয় প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১৫.৫ এবং ১৫.৩ ভাগে উন্নীত করেছে। সুতরাং বাংলাদেশও এ মডেল অনুসরণ করে রাজস্ব বৃদ্ধিতে অপ্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারে।
এ জন্য দেশের রাজস্ব বোর্ড এবং সরকারের সহযোগী মনোভাবই যথেষ্ট। দেশেই এ ধরনের সফটওয়্যার প্রস্তুত আছে। শুধু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচলিত নিয়মের বাস্তবায়ন করলেই বাংলাদেশ আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকায় অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর আদায় করতে পারবে।
এ ছাড়াও এ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এবং দেশীয় সফটওয়্যার খাতের প্রণোদনা বৃদ্ধিতে এ ধরনের সিস্টেমের প্রর্বতন এখন সময়ের দাবি। এ অনুষ্ঠানে বেসিসের সাবেক তিনজন সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাউলি, হাবিবুল্লাহ এন করিম এবং মাহবুব জামান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ১৪০৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৩