বিশ্বের সবর্ত্রই এখন ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ভ্রমণে আকাশ পথে, দ্রুতগতির রেল পথে এমনকি সমুদ্র পথেও ইন্টারনেট ছাড়া যেন চলেই না।
সুপরিচিত টেলিযোগাযোগ নির্বাহী ড্যান আকারসন বলেন, আমার নাতি এখনই স্মার্টফোনে অভ্যস্ত। বয়সে নবীন হতেই তার চাহিদা যে স্তরে পৌঁছবে এ ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেটনির্ভর গাড়ি মোটেও অবাস্তব কোনো ধারণা নয়।
প্রগতিশীল গাড়ি শিল্পের বিকাশে নিত্যনতুন সংযোজন-বিয়োজন তো চলছেই। এখানে ইন্টারনেট হতে একেবারেই নতুন ঘরানার চমক। এরই মধ্যে গাড়ির মধ্যেই অনলাইন বিনোদন আবহ আর নেভিগেশন সিস্টেম দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। এতে গাড়ির কাটতিও বাড়বে হু হু করে। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা।
অটো শিল্পে নতুন গ্রাহক তৈরি এবং বিকাশে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিভাবেই সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তথাকথিত ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং জিপিএস সিস্টেমের বিপরীতে এখন তৈরি হচ্ছে ইন্টারনেটনির্ভর গাড়ি।
আসছে ২০১৫ সালেই জিএম ইন্টারনেট ঘরানার গাড়ি তৈরি করতে পারবে। এ ছাড়াও ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ অটোমেকার জিএম ইন্টারনেট সেবাভুক্ত গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে প্রদর্শন করতে পারবে। এমনটাই জানিয়েছে নির্মাতা সূত্র।
এতে অনলাইন বিজ্ঞাপনের বড় একটা বাজারও তৈরি হবে। জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে একজন ইন্টারনেট ভোক্তা প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম ৪ ঘণ্টা অবকাশে ইন্টারনেট সান্নিধ্যে সময় কাটায়। ইন্টারনেট ঘরানার গাড়ি বাজারে এলে পথে থাকাকালীন লাইভ ভিডিও সম্প্রচার এবং ইন্টারনেটকেন্দ্রিক বিনোদন আরও বেশি জনপ্রিয় হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৩