ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জাপানি সাবমেরিন খুঁজে পেলো ‘‘আটলান্টিস’’

জেড এম আবুসিনা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৩
জাপানি সাবমেরিন খুঁজে পেলো ‘‘আটলান্টিস’’

টোকিও থেকে: জাপানের একটি সাবমেরিন ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো`র নিকটবর্তী সমুদ্র তলদেশে গ্রানাইটের সন্ধান পেয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ আটলান্টিস সম্ভবতঃ আটলান্টিক মহাসাগরেই অবস্থান করছিলো। জাপান এজেন্সি ফর মেরিন আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ব্রাজিলিয়ান সরকার এ কথা জানিয়েছে।



ব্রাজিলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গ্রানাইট সাধারণভাবে শুষ্ক ভূমিতেই তৈরি হয় -ফলে আটলান্টিসের অস্তিত্ব সম্পর্কে এটিকে একটি বড় প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান- প্লেটোর তত্ব অনুযায়ী আটলান্টিসের এখানেই অবস্থান করার কথা।

কিংবদন্তি অনুসারে, আটলান্টিসের একটি উন্নত মানব সভ্যতা ১২ হাজার বছর আগে সমুদ্রে নিচে তলিয়ে যায়। এরপর তা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

জাপানি সংস্থাটি অনুসন্ধানে শিনকাই ৬৫০০ সিরিজের সাবমেরিন ব্যবহার করে। ধারণা করা হচ্ছে সমুদ্রের নিচে পাওয়া গ্রানাইট অন্ততঃ কয়েক লক্ষ বছর আগে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিলো। তবে সেখানে মানুষের হাতে তৈরি কোনো বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এই প্রথম মানুষ নিয়ে কোনো সাবমেরিন দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অনুসন্ধান চালালো।

গত এপ্রিলে জাপান এজেন্সি ফর মেরিন আর্থ সায়েন্স রিও ডি জেনিরোর প্রায় ১ হাজার কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে একটি বিশেষ ধরণের ডিভাইস ব্যবহার করে রিও গ্র্যান্ডি`র উত্থান পরিমাপ করে। সমুদ্রের ৯১০ মিটার গভীরে ১০ মিটার উঁচু ও চওড়া খাড়া ঢালের অস্তিত্ব দেখতে পান।

বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর দেখা যায়, সেখানে বিপুল পরিমাণ স্ফটিক বালুও রয়েছে -এই উপাদানটিও সাগরে উৎপন্ন হয়না। ধারণা করা হচ্ছে অঞ্চলের তলদেশের অংশটি মূলতঃ ব্যাসল্ট নামের এক জাতীয় কৃষ্ণধূসর আগ্নেয় শিলা দিয়ে তৈরি।

১০ কোটি বছর আগে যখন দক্ষিন আমেরিকা ও আফ্রিকা পৃথক হয়ে যায় সে সময় আটলান্টিসের অংশটুকু মাঝে পৃথক হয়ে রয়ে গিয়েছিলো। এজেন্সি ফর মেরিন আর্থ সায়েন্স এর ধারণা মতে এই অঞ্চলটি ৫ কোটি বছর আগেও সাগরের উপরে ছিলো এরপর আস্তে আস্তে তা সাগর বক্ষে তলিয়ে যায়। সমুদ্রের নিচে প্রাপ্ত ফসিল থেকে অনুমান করা হচ্ছে তলিয়ে যাওয়ার সময়টি কয়েক লক্ষ বছর ধরে স্থায়ী হয়।

রিও গ্রান্ডির উত্থানটিই হলো এ অঞ্চলের একমাত্র সম্ভাব্য শুষ্ক স্থান অর্থাৎ যে স্থানটি কোনো এক সময়ে শুষ্ক ছিলো।

অবশ্য বিশেষজ্ঞরা এখনই এ নিয়ে কোনো উপসংহারে যেতে রাজি নন। জাপানের গিফু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিনিচি কাওয়াকামি বলেছেন, "দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা মিলে একটি বিশাল মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো। ভূ-গর্ভস্থ টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ার ফলে তারা পৃথক হয়ে যায় -এর ফলে ঐ অঞ্চলটি সমুদ্রে রয়ে গিয়ে থাকতে পারে। "

তিনি বলেন, "আটলান্টিসের ধারণাটি আধুনিক ভূবিদ্যার বহু আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে। আমাদের এখনই আটলান্টিস নিয়ে কোনো উপসংহারে পৌঁছানো উচিত নয়। "

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৩
এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।