ডিজিটাল বিশ্ব এখন কল্পনাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। নিত্যনতুন উদ্ভাবনী কৌশল এখন ফোরজি প্রযুক্তিকে ছাড়িয়ে ফাইভজি গতির পিছু নিয়েছে।
এ সুবাদে মাত্র ১ সেকেন্ডেই ডাউনলোড হবে পুরো ১ জিবি ডাটা। তাও আবার স্মার্টফোন টু স্মার্টফোন। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা স্যামসাং এ সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এ প্রযুক্তি সর্বোচ্চ দু কিলোমিটারের মধ্যে এ তথ্য বিনিময় সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
তবে এখনই এ প্রযুক্তির উপযোগী পণ্য এবং বাণিজ্যিক ব্যবহার হাতের নাগালে পৌঁছবে না। আসছে ২০২০ সালে ফাইভজি প্রযুক্তির নেটওয়ার্কে তথ্য বিনিময় সুবিধা উপভোগ করা যাবে। এখনও অবশ্য বিশ্বের অনেক দেশেই ফোরজি নেটওয়ার্কেরই প্রচলন হয়নি।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বাংলাদেশও বেশ পিছিয়ে আছে। দেশের একমাত্র সরকারি অপারেটর টেলিটক সবে থ্রিজি নেটওয়ার্কভুক্ত সেবা দিতে শুরু করেছে। তবে অচিরেই এ সেবা দেশের অন্য সব অপারেটরদের জন্যও বরাদ্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্টরা এমনটাই মনে করছেন।
এবারে ফোরজি থেকে ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়নে তথ্যগত বিনিময়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। এটা অনেকটা ধারণাকেও হার মানাবে। ফাইভজি প্রযুক্তিতে তথ্য বিনিময়ে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতাই থাকবে না। এ জন্য নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
অর্থাৎ ফাইভজি নেটওয়ার্কে গ্রাহকেরা ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) মুভি, রিয়েল টাইম স্ট্রিমিং আলট্রা হাই-ডেফিনেশন (ইউএইচডি) এবং রিমোট মেডিক্যাল সেবা উপভোগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে খুব সহজেই ত্রিমাত্রিক অনলাইন কনটেন্ট উপভোগ করা যাবে।
এবারে স্যামসাং শুধু পণ্য নয়, নেটওয়ার্ক সুসম্প্রসারণেও কাজ করবে। এ পরিবর্তন এবং বিপ্লব মোবাইল শিল্পের জন্য বড় ধরনের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচক করবে। দূরত্বে থেকেও নেটওয়ার্কে আরও বেশি তথ্য বিনিময়ে গতিশীল প্রক্রিয়াকে এখন স্যামসাং বাস্তব করে তুলবে।
এ মুহূর্তে তারযুক্ত নেটওয়ার্কের সুসম্প্রসারিত দেশ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে এখন ২ কোটি ফোরজি গ্রাহক আধুনিক মোবাইল নেটওয়ার্কের সুবিধা উপভোগ করছে।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৩