ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

২০১৫ সালেই সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ

ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৩
২০১৫ সালেই সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ

ঢাকা: ২০১৫ সালের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া তথা ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার।

মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের ফলে আর আগের মতো পাঠদান তথা ব্লাকবোর্ডে লিখতে হবে না।

ল্যাপটপ, মডেম ও প্রজেক্টর ব্যবহার করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হবে।

এ জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হবে।

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন জানান, আগামী জুনের মধ্যে প্রতি উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবরাহ করা হচ্ছে। এ জন্য ওইসব বিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষককে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিভিন্ন স্কুলে এক হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জান‍ানো হয়।

মোতাহার হোসেন বলেন, আগামী বছর আরো ১০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবরাহ করা হবে। ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের আওতায় আসবে।

তবে যে সব বিদ্যালয়ে বিদ্যু‍‍ৎ নেই তাদেরকে সোলার প্যানেল সরবারহ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সরকার স্কুলগুলোর শ্রেণিকক্ষ মাল্টিমিডিয়ার জন্য ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট মডেম সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের ২০ হাজার ৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষে রুপান্তর করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, গ্রাম-শহরের বৈষম্য না করে এ ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ফলে আমাদের ছেলেমেয়েরা এমন শিক্ষা পাবে যেন বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সব উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসি) ডেক্সটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। সেখানেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের (পিটিআই) মাধ্যমেও শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এ মুহূর্তে দেশে ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এর ফলে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৬৩ হাজার ৮৬৫টি।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আলোচ্য বছরের জুনের মধ্যে ২২ হাজার ৯৮১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে বাকী বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বাংলাদেশ সময় ১৯৫৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৩
এমআইএইচ/ সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।