ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তৃতীয় পর্ব

ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার দিকে বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০
ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার দিকে বাংলাদেশ

এখন আর শহর নয়, গ্রাম ছাড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদগুলোও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আওতায় চলে আসছে। এরই মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে সমসাময়িক অবদান রাখার স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বে অর্জনগুলো দেখলেই এ চিত্র অনেকটাই স্পস্ট হয়ে যায়। শুধু এ এক বছরে দেশের ডিজিটাল পরিমন্ডলে জুড়ে গেছে নানামুখী সংযোজন। এসব তথ্য নিয়ে লিখেছেন মনোয়ারুল ইসলাম-

৪৫০১টি ইউপিতে তথ্যকেন্দ্র
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে ৪৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) তথ্য সেবাকেন্দ্রের (ইউআইএসসি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ উপলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ইউএনডিপির প্রশাসক হেলেন কার্ক বাংলাদেশ সফরে আসেন।

এ মুহূর্তে ইউপি সেবাকেন্দ্রগুলোতে সুলভে সরকারি, বেসরকারি এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য ও সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইউআইএসসিতে ৫০টিরও বেশি অনলাইন এবং অফলাইন সেবা দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি ফরম, সরকারি বিজ্ঞপ্তি, বিধি, বিভিন্ন ডকুমেন্ট, জন্ম নিবন্ধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য, স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসার এমপিওভূক্তির তথ্য এবং ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ডধারীদের তথ্য ভান্ডার।

ইলেকট্রনিক ভোটিং
গত জুন মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেশে প্রথমবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হয়। চট্টগ্রামের ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের ১৪টি ভোটকেন্দ্রে এ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। অচিরেই দেশের পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে এ পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

অনলাইনে আয়কর বিবরণী
এ বছরই প্রথমবার অলাইনে আয়কর বিবরণী প্রদান ব্যবস্থা চালু করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনলাইনে তার আয়কর বিবরণী প্রদানের মাধ্যমে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। ঢাকার কর অঞ্চল-৮  পরীামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করা হয়। আগামী বছর দেশের সব কর অঞ্চলে এ সেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ইলেকট্রনিক ডাক সেবা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের মার্চে দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক ও মোবাইল মানিঅর্ডার এবং পোস্টাল ক্যাশকার্ড নামক দু ধরনের ই-ডাক সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ই-ডাক সেবার মাধ্যমে গ্রামের সঙ্গে শহরে অর্থ লেনদেন আরও সহজতর হয়েছে।
তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ তাদের সন্তান, আত্মীয়-স্বজন এবং ভাই বোনদের কাছে সহজেই অর্থ পাঠাতে পারছেন। এরই মধ্যে দেশের ১০ হাজার ডাকঘরের নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে ডাক বিভাগকে আরও সেবামুখীকরা এবং দেশের আট হাজার ৫০০ ডাকঘরে ই-সেন্টার চালু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এমবিলিয়নথে বাংলাদেশের পুরস্কার অর্জন
এ বছর দণি এশীয় এমবিলিয়নথে দুটি পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনভিত্তিক বিক্রির স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির জন্য বিজনেস এক্সপ্রেস এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ফোনে ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য অন্য পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। দিল্লীর এক অনুষ্ঠানে মোবাইল প্রকল্প বিষয়ে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ।

এছাড়াও দেশের প্রথম স্যাটেলাইট স্থাপন, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোজন, ভিওআইপি অবমুক্ত, ডিজিটাল সরকারি মন্ত্রণালয়, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তী, দেশের সব বিদ্যালয়ে ই-সেবা, জাতীয় সংসদের লাইব্রেরিকে ডিজিটালাইজড করা, ইলেকট্রনিক দরপত্র এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং চালু, অনলাইনে গাড়ির ট্যাক্স প্রদানসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অচিরেই এ সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০১১৫, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।