সিলেট: অবশেষে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে বিভাগীয় নগরী সিলেটে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে টেলিটক-থ্রিজি নেটওয়ার্ক পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছে।
জানা গেছে, থ্রিজি নেটওয়ার্ক আপাতত সিলেটের দরগা মহল্লা, মেন্দিভাগ, মিরাবাজার, উত্তর বালুচর, সাগরদিঘীর পাড় এই পাঁচ এলাকায় চালু করা হয়েছে।
এসব এলাকার যারা আগে থেকেই টুজি সিমকে থ্রিজি করে রেখেছেন তারা ম্যানুয়ালি নেটওয়ার্ক সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। তবে যেহেতু পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছে সেজন্য নেটওয়ার্ক যাওয়া-আসা করতে পারে। তবে এ সমস্যা সাময়িক বলে জানিয়েছে টেলিটক সূত্র।
টেলিটক থ্রিজি নেটওয়ার্কে ঢুকতে নেটওয়ার্ক সেটিংস এ গিয়ে 3G only/WCDMA only মুড দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সিলেটে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইলফোন সুবিধা মার্চ মাসে চালুর কথা থাকলেও থ্রিজি প্রযুক্তির অবকাঠামোর কাজ যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় ১ আগস্ট থেকে চালু হল থ্রিজি সেবা।
টেলিটকের সহকারি ব্যবস্থাপক (ট্রান্সমিশন) মুনতাসীরুর রহমান রুম্মান বাংলানিউজকে জানান, ৪০টি বিটিএসের মাধ্যমে পুরো সিলেট নগরী থ্রিজির আওতায় আসবে। ঈদের আগেই ২৯টি বিটিএসে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করবেন তারা।
এছাড়া নগরীর বাইরে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যায়ে থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সেখানে একটি বিটিএসের কাজ চলছে বলে জানান মুনতাসীরুর রহমান রুম্মান।
টেলিটক সূত্র জানায়, টেলিটকের সিলেট অঞ্চল তথা সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় টেলিটকের সক্রিয় সিম রয়েছে ৩০ হাজার। থ্রিজি আসার খবরের পর তা আরও কয়েক হাজার বেড়ে গিয়েছিলো।
থ্রিজি চালুর পর আবারও গ্রাহক বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে টেলিটক সূত্র।
প্রসঙ্গত, থ্রিজির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে সহজেই ভিডিও কল করা যাবে। টেলিভিশন দেখা বা ভিডিও কনফারেন্সও করা যাবে। এছাড়া, এম-হেলথ (অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা), এম-ব্যাংকিং (মোবাইলে আর্থিক লেনদেন), এম-এডুকেশনসহ (অনলাইন শিক্ষা সেবা) বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ সেবা পাওয়া যাবে।
তাছাড়া, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে শহরের সব সড়কে গাড়ির গতিবিধি দেখে অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ট্রাফিক পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৩
এসএ/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর