ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

থ্রিজির আবেদন জমা দিয়েছে ৫ অপারেটর

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৩
থ্রিজির আবেদন জমা দিয়েছে ৫ অপারেটর

অবশেষে দীর্ঘ নাটকীয়তার পর থ্রিজি তরঙ্গ নিলাম আবেদন জমা দিয়েছে বেসরকারি পাঁচ অপারেটর। সোমবার থ্রিজি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগে এ আবেদন জমা দেওয়া হয়।

সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

১২ আগস্ট সোমবার আনুষ্ঠানিক শেষ সময় ৫টার কিছু আগেই এ আবেদন জমা দেয় গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল এবং রবি কর্মকর্তারা।

লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সসিং বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুজ্জামান পাঁচ অপারেটরের এ থ্রিজি আবেদন গ্রহণ করেন।

থ্রিজি নীতিমালায় একটি বিদেশি অপারেটরের আসার সুযোগ থাকলেও কোনো বিদেশি অপারেটর এ আবেদনে অংশগ্রহণ করেনি। অবশ্য রাষ্ট্রয়াত্ত অপারেটর টেলিটকের আগেই আবেদন জমা দিয়েছে।

আবেদন জমা দেওয়ার পর বিটিআরসি চেয়াম্যান সুনীল কান্তি বোস সাংবাদিকদের বলেন, এখন আনুষ্ঠানিকভাবে থ্রিজি নিলামের প্রস্তুতি শুরু হল। লাইসেন্স আবেদন জমা দেওয়ার আগে বেসরকারি অপারেটরদের সিইওদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

অপারেটরদের কর কাঠামো নিয়ে বিভিন্ন আপত্তি এবং নানামুখী সমস্যা আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান। এখন অপারেটরেরা খুব খুশি। বিদেশি অপারেটর না এলেও নিলামে প্রতিযোগিতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

থ্রিজির আবেদন প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, কিছু ইস্যু এখনও অমীমাংসিত। অচিরেই তা মীমাংসা হবে বলে।

রবি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান বলেন, নতুন গ্রাহকের কাছে থ্রিজি প্রযুক্তিসেবা দিতে আমরা এগিয়ে এসেছি।

বাংলালিংকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, বিড আর্নেস্ট মানি জমা দেওয়ার আগেই অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

এয়ারটেলের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আশরাফ এইচ চৌধুরি এবং সিটিসেলের মহাব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) শরিফ শাহ জামাল রাজ থ্রিজির আবেদন জমা দেন।

অপারেটরদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, বিড আর্নেস্ট মানি জমা দেওয়ার আগে আলোচিত দাবিগুলোর নিস্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

অপারেটরেরা আবেদন জমা দেওয়ার সঙ্গে কোনো শর্ত দিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের সদুত্তরে সুনীর বোস সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনকৃত পাঁচ অপারেটরের কেউই কোনো শর্ত আরোপ করেনি।

এরই মধ্যে ছয় অপারেটরের মধ্যে সরকারি অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সে একই পরিমাণ টাকা দিয়েই সরকারি টেলিটককেও লাইসেন্স নিতে হবে। আর টেলিটক ছাড়াও মোট পাঁচ অপারেটরকে থ্রিজির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে ১২ অগাস্ট তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তিসেবা (থ্রিজি) তরঙ্গ নিলাম আবেদন জমার শেষ সময় ঠিক করা হয়। নিলামের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ২ কোটি মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তিসেবা (থ্রিজি) লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন একটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ আবেদনের মাধ্যমে নির্বাচিত অপারেটরেরা ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স পাবে।

বাংলাদেশ সময় ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৩
এসএমএ/সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।