বাংলাদেশ ও ভারতের আইটি কোম্পানির মধ্যে বিটুবি ম্যাচমেকিং বৈঠক ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাস্থ সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার ২৪ আগস্ট ‘আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ: অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান এবং সিরড্যাপের মহাপরিচালক ড. সিসেপ এফেন্দি।
ভারতীয় হাই কমিশিনার পঙ্কজ শরণ বলেন, এ ধরনের সেমিনার হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম। ভারত সরকার সব সময় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সরকার সর্বদাই অংশীদার হয়। তথ্যপ্রযুক্তিতেও ব্যতিক্রম নয়।
ভারত সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। দু দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্য যাতে আরও বেগবান হয় সেজন্য এ দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করবে ভারত সরকার। এ ছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রাপ্তি প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে।
এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিটুবি ম্যাচমেকিং পদ্ধতিতে দু দেশের আইটি উদ্যোক্তারা পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক অংশীদার খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে। এতে দু দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। এ উদ্যোগ সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) ইস্টার্ন রিজিওনের চেয়ারম্যান এস রাধাকৃষ্ণান। আরও ছিলেন বিসিএস সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বেসিস সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম। তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) এখন বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। ২০২১ সাল নাগাদ ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প দেশের আইসিটি উদ্যোক্তাদের পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
আইসিটি উদ্যোক্তাদের সংগঠন বেসিস এবং বিসিএস এ আয়োজনে প্রত্যক্ষভাবে আরও সম্পৃক্ত হতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। এ আয়োজনের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বাণিজ্য বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিনিয়োগ সুবিধাদি ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
বিসিএস, বেসিস, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (আইবিসিসিআই) এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে এবং সিআইআই ও সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফরের (সিরডাপ) সহায়তা কর্মসূচির মধ্যে আছে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন উপায় বিশেষ করে দু দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার পথ খুঁজে বের করা, সফটওয়্যার তৈরি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয় গুরুত্ব পাবে।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। এ দলটি বাংলাদেশের ৩০টিরও বেশি আইটি কোম্পানির সঙ্গে ৬০টিরও বেশি বিটুবি সভায় অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর