ঢাকা: বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের গোড়ার দিকে সবারই একটি ‘ইয়াহু’ ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকতো। ইন্টারনেট ব্রাউজারে ইয়াহু হতো হোম পেজ।
আন্তর্জাতিক অনলাইন র্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান অ্যালেক্সা.কম শনিবার এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে।
বাংলাদেশের সীমারেখার মধ্য থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যতগুলো অনলাইন ব্রাউজ করেন সেগুলোর মধ্যে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর অবস্থান পঞ্চম।
আর যদি বাংলাদেশের সব অনলাইন মাধ্যমের কথা ভাবা হয় তাহলে বাংলানিউজ তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে আরো অনেক আগে। দেশের ভেতরে দেশের যে কোনো অনলাইনের চেয়ে বাংলানিউজ সবচেয়ে বেশি ব্রাউজড হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্য কোনো মিডিয়া বাংলানিউজের চেয়ে অন্তত দুই ধাপ পিছিয়ে।
আন্তুর্জাতিকভাবেও বাংলানিউজ এগিয়ে যাচ্ছে সমান গতিতে। গত এক মাসের হিসেবে বিশ্বের অন্তত ২০১ টি অনলাইনকে পেছনে ফেলেছে বাংলানিউজ। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ৭টি আন্তর্জাতিক অনলাইনকে পেছনে ফেলছে বাংলানিউজ।
এই যে বাংলানিউজের এগিয়ে চলা, পাঠকপ্রিয়তা অর্জন তা সম্ভব হচ্ছে এর কর্মীদের নিরন্তর কাজ করে যাওয়ার কারণে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বাংলানিউজ আধুনিক সময়ের জন্য উপযোগী সাংবাদিকতার চর্চা করে যাচ্ছে।
বাংলানিউজের বিশাল কর্মী বাহিনী দেশের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা খবর যেমন বের করে উপস্থাপন করছে, তেমনি ঘটে যাওয়া যে কোনো খবর প্রকাশ করছে সবচেয়ে দ্রুততায়। আন্তর্জাতিক খবরকেও বাংলানিউজ দেয় সমান গুরুত্ব।
এসব কারণেই প্রতি মূহূর্তের আপডেট জানতে পাঠক বাংলানিউজের ওপরই নির্ভর করে। আর বাংলানিউজ তার পাঠকের এই নির্ভরতা সঠিক মূল্যায়ন করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা দিতে থাকে সার্বক্ষণিক সংবাদ বিনোদন।
বাংলানিউজের এই খবর প্রদান ও জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফ্রান্সিকো শহরে অনলাইন গবেষক সিমন টিসমিনেস্কি। তিনি বাংলানিউজের সাইটটিকে একটি গেম ওয়েব সাইটের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ইন্টারনেটে অনলাইন মাধ্যমগুলোর ওপর চোখ রাখাই আমার কাজ। আমি দেখেছি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম যেভাবে স্বল্প সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে আন্তর্জাতিক ৠাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে এমনটা কমই দেখা যায়। একমাত্র গেম ওয়েবসাইটগুলো এভাবে জনপ্রিয়তা পায়, মত সিমনের।
নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে উপহার দেওয়া-নেওয়ার প্রতিষ্ঠান উৎসব.কম এর স্বত্ত্বাধিকারী রায়হান জামান বাংলানিউজকে একটি ‘হ্যাপনিং ওয়েবসাইট’ বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, বাংলানিউজে চোখ রাখলেই বোঝা যায়- এখানে কিছু না কিছু সারাক্ষণই ঘটছে। এটি একটি রঙীন ওয়েব সাইট। খবরকে এভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে যে বিনোদন দেওয়া যায়, আকৃষ্ট করা যায় তা একমাত্র বাংলানিউজই দেখিয়েছে।
বাংলানিউজের এই সাফল্যের ও অগ্রযাত্রার পেছনে একটি দারুণ টিমওয়ার্ক কাজ করেছে বলেই মত এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই। নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সংবাদ পরিবেশন করে যাওয়া। আমরা কাজটি করতে চাই এবং করছি। আর সে কারণেই এই সাফল্য।
তবে আমাদের লক্ষ্য আরও অনেক দূরে। আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েই নিজেদের সফল বলতে পারবো, বলেন আলমগীর হোসেন।
আর বাংলানিউজের টিম মেম্বারদের সবার একটাই মত, এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বই তাদের এই কাজের প্রধান অনুপ্রেরণা। স্বপ্নপূরণের এই যাত্রায় তারা কেউই পিছ পা হতে চান না।
বাংলানিউজই হয়ে থাকবে বাংলাদেশের সীমারেখায় ব্রাউজ করা শীর্ষ অনলাইন এই প্রত্যাশা সবার। বাংলানিউজের সামনে এ লক্ষ্য অর্জনে আর মাত্র চারটি ধাপ। ইউটিউব, গুগল, গুগলবিডি ও ফেসবুক।
এ লক্ষ্য পূরণে প্রত্যয়ী বাংলানিউজের প্রতিটি কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৩
এমএমকে/জেডএম/এমজেডআর