বিশ্বের সাধারণ মানুষের জনমত প্রকাশে সামাজিক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এখন অপ্রতিরোধ্য। মাত্র কবছর আগেও সাধারণ মানুষের বিশ্বের যেকোনো ঘটনায় তাদের সক্রিয় মতামত কিংবা পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ ছিল না।
একের পর এক নিপুণ হাতে গড়ে উঠছে ফেসবুক রাষ্ট্র। এখানে সব ধরনের নাগরিকের যেকোনো বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য-পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ আছে। এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগে যেকোনো ঘটনায় প্রত্যেকের পছন্দ জানাতে ‘লাইক’ বাটন চালু করে ফেসবুক।
একদিকে দারুণ সফল হয় এ উদ্যোগ। কিন্তু কিছুটা সমালোচনা যে ঝুড়িতে জমা পড়েনি তা নয়। লাইকের বিপরীতে ‘ডিসলাইক’ বাটন না থাকায় এ উদ্যোগ খানিকটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
কারণ যেকোনো ঘটনায় শুধু পছন্দ নয়, অপছন্দও থাকতে পারে। এ ছাড়াও মর্মান্তিক এবং দুর্ঘটনায় খবর পেলে ফেসবুক ভক্তরা তাৎক্ষণিক সহানুভূতিশীল হয়ে উঠেন। প্রকাশ করেন তাৎক্ষণিক শোকবার্তা। কিন্তু ফেসবুকে এ ধরনের মন্তব্য প্রকাশে কোনো টুলস না থাকায় এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।
এ নিয়ে ‘ সিমপ্যাথাইজ’ বাটন তৈরি প্রক্রিয়াধীন আছে। অচিরেই এ বাটন সক্রিয় করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে এ বাটন পরিকল্পনা আলোচনায় এসেছে। আর সাড়াও মিলেছে ইতিবাচক।
তবে এ বাটন বিল্টইন থাকবে না। অর্থাৎ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজের অ্যাকাউন্টে স্যাড বা ডিপ্রেসড এ ধরনের বাক্য লিখলেই ফেসবুক পেজে সিমপ্যাথাইজ বাটন দৃশ্যমান হবে। আর তখনই ব্যবহারকারী এ বাটনে ক্লিক করার সুযোগ পাবেন।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক প্রকৌশলী ড্যান মুরিয়েলো বলেন, এরই মধ্যে সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সিমপ্যাথাইজ বাটন প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ এ বাটন চালু হবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, আগের লাইক, টাইমলাইন এবং চ্যাট ম্যাসেজ্ঞার ফেসবুকের সাফল্যে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এবারের সিমপ্যাথাইজ বাটনও দারুণ সফল হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। তবে এ বাটন সক্রিয় হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানালেন ড্যান মুরিয়েলো।
বাংলাদেশ সময় ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৩