বিখ্যাত চিপ নির্মাতা ইন্টেলের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৩ সাল একটি সাফল বছর। এ অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবন পার্সোনাল কম্পিউটিংয়ে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
কম্পিউটিং প্রযুক্তি তৈরি ও প্রসারিত করার মাধ্যমে জীবনকে যুক্ত ও সমৃদ্ধ করাই ইন্টেলের লক্ষ্য। ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে এ বছর ইন্টেল কয়েক ধাপ এগিয়েছে। স্মার্ট কার থেকে শুরু করে, ট্যাবলেট, আলট্রাবুক এবং সার্ভারে কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহার ও তার প্রতিফলন বদলে গেছে।
বাংলাদেশে ইন্টেলের কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার জিয়া মনজুর বলেন, এ ছাড়া ইন্টেল এশিয়া অঞ্চলকে গ্লোবাল ‘পাওয়ার হাউজ’ হিসেবে তৈরি করতে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। একুশ শতকের দক্ষতা ব্যবহার এবং উদ্যোক্তা হিসেবে বিনিয়োগ করতেও উৎসাহ যোগাচ্ছে ইন্টেল।
ইন্টেল যুগান্তকারী প্রযুক্তির সমন্বয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকে আরও স্মার্ট, দ্রুত ও অধিকতর নিরাপদ করেছে এ বছরে। এ বছরেই উন্মুক্ত করা হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টেল কোরপ্রসেসর। ফলে অনেকগুলো ‘টু-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল ডিভাইস’ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
এদের মধ্যে যেগুলো ট্যাবলেট এবং পার্সোনাল কম্পিউটার দুভাবেই কাজ করতে পারে। ইন্টেল ল্যাবের পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, চার বছর আগের তুলনায় কম্পিউটারের গতি এখন প্রায় ১.৮ গুণ বেড়ে গেছে।
এটা শুধু ট্যাবলেট আর ডেস্কটপকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়াও কম্পিউটারের কার্যকারিতা ও শক্তি দক্ষতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে মে মাসে অবমুক্ত করা হয়েছে ইন্টেলের সিলভারমন্ট মাইক্রো-আর্কিটেকচার এবং ২২এনএম ৩-ডি ট্রাইগেট সিস্টেম-অন-এ-চিপ (এসওসি) প্রসেসর।
সিলভারমন্ট প্রযুক্তি কম্পিউটারের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর কারিগরি যোগ্যতায় বর্তমান প্রজন্মের ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর কোর থেকে প্রায় ৫ গুণ কম শক্তি ব্যয়ে একই কার্যকারিতা পাওয়া যাচ্ছে।
এ বছরে ডিভাইস মার্কেটের জন্য আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ট্যাবলেট ও স্মাটফোনের জন্য ইন্টেল অ্যাটম প্রসেসর জেড৩০০০ সিরিজের উন্মোচন। ‘বে ট্রেইল’ নামে পরিচিত এ চিপটি ডিজাইন করা হয়েছে উচ্চমাত্রায় ব্যবহৃত ডিভাইসের ক্ষেত্রে ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি উদ্দেশ্য। এ ছাড়া এ চিপসেট নির্মাতাদের বিভিন্ন দামে তুলনামূলক পাতলা, হালকা ও শক্তিশালী পণ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করছে।
ঘরোয় বিনোদনের জন্য এটি নতুন খাত হিসেবে উঠে আসার সঙ্গে কম্পিউটিং ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত সহজ, দ্রুত এবং আকর্ষণীয় করতে গ্রাহকদের প্রতি ইন্টেলের যে প্রতিশ্রুতি, তা ২০১৪ সালেও চলমান থাকবে। মোবাইল ডিভাইসের জন্য দিন দিন যত বেশি টিভি শো, মুভি এবং কনটেন্ট তৈরি করা হচ্ছে তা মিডিয়া শিল্পে সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
বিশ্বের অন্যতম হাই স্কুল সায়েন্স রিসার্স প্রতিযোগিতা ‘ইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ার’ (আইএসইএফ) লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব কল্পনা শক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী সল্যুশন তৈরিতে উৎসাহিত করছে।
অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে শুরু করে ক্যান্সার চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় মোকাবেলায় কাজ করতে তরুণ বিজ্ঞানী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দেড় হাজার জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অ্যারিজোনার ফিনিক্সে গিয়ে তাদের আইডিয়া উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর