ঢাকা: দেশের ৬৪ জেলাই এখন গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায়। মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে ২০১৪ সালের মার্চের মধ্যেই দেশের সবজেলা থ্রিজি নেওয়ার্কের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিল।
সেই ঘোষণা অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলায় থ্রিজি সেবা পৌঁছে দিয়েছে গ্রামীণফোন। ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গ্রামীণফোন হাউজে থ্রিজি সেবার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন।
এই মাইল ফলক স্পর্শ করা প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাহমিদ আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম- মার্চের মধ্যেই সব জেলায় থ্রিজি সেবা পৌঁছে দেবো। সেই ওয়াদা আমরা পূরণ করেছি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকা ও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে প্রথমে থ্রিজি সেবা চালু করে গ্রামীণফোন।
ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন সব বিভাগীয় শহরে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গ্রাহকদের তৃতীয় প্রজন্মের তরঙ্গ সেবা পৌঁছে দেয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে থ্রিজি চালু করার পরের মাসেই নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দারা থ্রিজি সেবার আওতায় আসেন। এভাবে একে একে ৬৪ জেলায় পৌঁছে যায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ ঢাকায় থ্রিজি সেবা চালুর অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, থ্রিজি সেবা গ্রামীণফোন এবং বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। তার এই কথার সূত্র ধরে টেলিযোগাযাগ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৬৪ জেলায় থ্রিজি চালু হওয়ায় সারাদেশ নতুন করে তথ্যকেন্দ্রিক যুগে প্রবেশ করলো।
গ্রামীণফোন গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত নিলামে ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) কিনে নেয়। এই তরঙ্গ কেনার জন্য যেসব অপারেটর নিলামে অংশ নিয়েছিলো তাদের মধ্যে গ্রামীণফোনের তরঙ্গ দ্বিগুণ। থ্রিজি নিলামে ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কেনে বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৪