তথ্যপ্রযুক্তিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের প্রধান কারিগর হিসেবে গণ্য করে আগামী সাত বছরের জন্য এ খাত-সংশ্লিষ্টদের ট্যাক্স হলিডে সুবিধা এবং আগামী বাজেটে ৭০০ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। একইসাথে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সকল যন্ত্রাংশে করের হার যৌক্তিকভাবে সুবিন্যস্ত করার দাবি জানানো হয়।
আউটসোর্সিং, ই-সেবার বিকাশ ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে ই-বাণিজ্যের সকল লেনদেনের উপর থেকে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার সহ সাত দফা দাবি জানায় বিসিএস।
সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের আশ্বাস অনুযায়ী ‘ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ’ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ডিজিটাল ক্যামেরা, ২৭ ইঞ্চি পর্যন্ত মনিটর, মাল্টি ফাংশনাল প্রিন্টার, ইন্টারনেট সংযোগের জন্য নেটওয়ার্কিং ডিভাইসে ট্যাক্স কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি বিপণিকেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভ্যাট মওকুফ সুবিধা আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ‘তথ্যপ্রযুক্তি সেবা’খাতের উন্নয়নে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ এআইটি এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব রাখেন বিসিএস সভাপতি এ.এইচ.এম মাহফুজুল আরিফ।
তিনি বলেন, কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের পর বিশ্ব এখন তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কায়িক শ্রমের স্থানে যুক্ত হয়েছে মেধা। খনিজ সম্পদের চেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে মানব সম্পদ। কম্পিউটার বিপ্লব আর ই-যোগাযোগের কল্যাণে পৃথিবীর অনেক দেশই দারিদ্রতাকে জয় করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম আছে। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা আমাদের তরুণ প্রজন্মের। অধিক জনসংখ্যার কারণে চাকরির বাজার একেবারেই ছোট হলেও কম্পিউটার, ই-যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে তারা আয় করছে। একদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ যেমন করে দিচ্ছে, তেমনি নিত্যনতুন সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে রপ্তানিও করছে।
দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্পের সঙ্গে তুলনা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৪