ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহার তথ্য ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল দেশ গঠনের লক্ষ্যে তৈরি করা প্রায় ২৫ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট (ন্যাশনাল পোর্টাল) যে কোনো সময় চালু করা হবে।
ন্যাশনাল পোর্টালের এ সব সাইটে জনগণের সেবা ও তথ্য সমৃদ্ধ করার কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রকল্প একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই)আওতায় তৈরি হয়েছে এ সব ওয়েবসাইট। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পুরাকীর্তি, ঐতিহাসিক স্থানগুলোর ৪লাখের বেশি ছবি সংযোজন করা হয়েছে এগুলোতে।
১৫ লাখের বেশি কন্টেন্টে ন্যাশনাল পোর্টালে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও কর্মকর্তাদের তালিকা উন্মুক্ত করা হচ্ছে। রয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ ও পে কমিশনের তথ্যও।
এই পোর্টাল থেকে জনগণ অনলাইন সেবার প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য যে কোনো স্থান থেকে সার্চ করে নিতে পারবেন। এ জন্য তাকে কোনো ফি দিতে হবে না। সরকারের সব ধরনের সেবা কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করতে তৈরি করা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট।
এসব সাইট থেকে সেবা পেতে প্রথমে www.bangladesh.gov.bd সাইটে সার্চ দিতে হবে। পরে যে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের তথ্য প্রয়োজন, ক্যাটাগরিতে গিয়ে সিলেক্ট করলেই চলে আসবে সেই সব তথ্য।
ন্যাশনাল পোর্টালে সবচেয়ে বড় e-directory book রয়েছে। পোর্টালের সফলতা ও শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য দেওয়া হবে বেস্ট পোর্টাল অ্যাওয়ার্ড।
ন্যাশনাল পোর্টাল বাস্তবায়নের জন্য Content Guideline, Training Guideline ও Video Guideline তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (আইসিটি) ও সকল পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ করা হয়।
ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র উদ্যোক্তা-ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, সহকারী কমিশনার (আই.সি.টি.), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব অফিস প্রধানরা এ পোটালের বিশাল কর্মযজ্ঞের অংশীদার।
একই প্ল্যাটফর্মে ৫ হাজারের বেশি ডোমেইনে রয়েছে সরকারি অফিসের ওয়েবসাইট। সরকারি দফতরের সেবা দিতে প্রায় ৫০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ইউনিকোড, ফটো এডিটিং, ইন্টারনেট আপলোড, ডাউনলোড, পিডিএফ সম্পাদনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ জন্য Facebook-এ ‘National Portal framework’ platform-এর মাধ্যমে Trouble shooting-এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ন্যাশনাল পোর্টালকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য বিসিএস প্রশাসন একাডেমি ও এনআই এলজি কোর্স গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বেসিস এর সহায়তায় এক বছরের বেশি সময়ে এ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর একটি গেজেট প্রকাশ করেছে।
একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের কর্মকর্তা দৌলত উজ্জামান বলেন, জনগণের প্রাপ্ত সেবাগুলোর সবই অনলাইনে পাওয়া যাবে। জেলা পযায়ে প্রদত্ত সেবাগুলোর লিংক উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। জনগণের কাঙ্খিত সেবা হাতের নাগালে পৌছে দেওয়াই এর একমাত্র লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৪