ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শনিবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
শনিবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস

ঢাকা: শনিবার (১৭ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস-২০১৪। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হতে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)- এর ১৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্রডব্যান্ড’।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আইটিইউ মহাসচিব ড. হামাদুন আই তৌরে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবুবকর সিদ্দিক বাণী প্রদান করেন।

দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান-বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, মোবাইল অপারেটরসহ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শনিবার (১৭ মে) উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, খুলনার হোটেল সিটি ইন-এ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবুবকর সিদ্দিক।

টেলিযোগাযোগ ও আইটি প্রফেশনালদের অংশগ্রহণে “টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্রডব্যান্ড” বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. পল্লব কুমার চৌধুরী এবং আলোচনায় অংশ নেবেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া, খুলনার শিববাড়ী মোড় থেকে ক্যাবল শিল্প লিমিটেড পর্যন্ত মনোজ্ঞ রোড শো ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে এবং কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, খুলনার আঞ্চলিক সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হচ্ছে।

১৮৬৫ সালের ১৭ মে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ সম্মেলন অনুষ্ঠানের নিদর্শনস্বরূপ ১৯৬৯ সালের ১৭ মে থেকে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে নভেম্বর, ২০০৬ আইটিইউ সম্মেলনে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যে হল ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের সঙ্গে জনগণকে পরিচিত করে দেয়া ও সচেতন করে তোলা; যাতে সমগ্র বিশ্ব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে
বিশ্ব ব্যাংক, ব্রডব্যান্ড কমিশন প্রাপ্ত গবেষণা অনুসারে কোন দেশে ব্রডব্যান্ডের প্রবেশ বা ব্যবহার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে গড়ে জিডিপি ১.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার নজির রয়েছে। ব্রডব্যান্ড বা উচ্চ গতি ও মান সম্পন্ন ইন্টারনেট ও সর্বব্যাপী ও সচল ডেটা আদান-প্রদান সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবেশ, খাদ্য, জ্বালানি প্রভৃতি খাতে বৈপ্লবিক উন্নতি ঘটাচ্ছে। মানুষের আয়, কর্মসংস্থান ও জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।