নতুন মাত্রা নিয়ে প্রযুক্তি জগতে প্রবেশ করছে গুগল গ্লাস। ইতিমধ্যে গুগল তাদের নতুন পণ্যের বিস্তারিত ‘ভিডিও আকারে’ প্রকাশ করেছে।
পর্যবেক্ষকদের পাওয়া নেতিবাচক আরেকটি বিষয় ভিডিও। শব্দের মান যথেষ্ট হলেও ব্যবহারকারীকে ভিডিও দেখতে হবে একচোখে। কারণ ডানপাশের গ্লাসে যখন ব্যবহারকারী ভিডিও দেখবে ঠিক সেই মুহূর্তে বামপাশের গ্লাস সেই ভিডিও সরবরাহের কাজে তাকে ব্যস্ত রাখবে। তাছাড়া স্মার্টফোনের ফিচারের দিক থেকে গুগল গ্লাস খানিকটা পিছিয়ে।
গ্লাসের ক্ষুদ্র ক্যামেরাটিও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে। এটি ঘরের ওয়াশরুমের মতো স্পর্শকাতর স্থানের ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ডিং করতে সক্ষম।
আরো বলা হয়েছে, কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনে থাকা তথ্যাবলীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবহারকারী নিজে করতে পারলেও গ্লাসের বেলায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায় বলে চাইলেই এটি ব্যবহারকারীর মনের মধ্যে ঢুকতে সক্ষম। ফলে স্পর্শকাতর তথ্যগুলোর গোপনীয়তা অনেকটাই থাকছেনা। ব্যপারটা অনেকটা ‘এনিমি অফ স্টেট’ সিনেমার মত।
একটা সময় ছিল যখন মানুষকে যেকোন তথ্য সংগ্রহে বেগ পোহাতে হতো। কিন্তু এখন সহজেই তা পাওয়া সম্ভব। বিশেষকরে গুগল গ্লাসের বেলায় তা খুব সহজ। যেকারণে মনোযোগের সহিত কিছু খোঁজা থেকে বিরত থাকায় ব্যবহারকারীর মনোযোগ ক্ষমতার বিঘ্ন ঘটবে এমনও অনুমান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৪