তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক মৌলিক কিংবা উচ্চমানের কাজ হোক সেটা ব্যাপার নয় ছোট একটি যন্ত্র পেনড্রাইভ যেটা প্রযুক্তি জগতের সবারই সর্বক্ষণের সঙ্গী। সহজে বহন এবং নির্ভরযোগ্য বলে এ সেক্টরের প্রায় সবারই এটি পছন্দের ডিভাইস।
নতুনের প্রতি আকাঙ্খা থাকে সবারই। তাই যারা নতুন একটি পেনড্রাইভের কথা ভাবছেন তাদের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ মেমোরির দিকটি ভাবা। সাধারণ কাজে ৪ থেকে ৮ জিবি মেমোরি যথেষ্ট। অনেকে আবার একটি পেনড্রাইভকে একটি সফটওয়্যার হিসেবেও ফিক্সড করে নেন।
বাজার যাচাই করে দেখা যায় এসময়ের পেনড্রাইভের সেরা তালিকায় রয়েছে অ্যাপেসার, ট্রানসেন্ড, টুইনমস, অ্যাডাটা এবং কিংস্টোন।
ট্রানসেন্ড ও অ্যাপেচার পেনড্রাইভ সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বলে জানান আইডিবি’র বিক্রেতারা।
দেশে পেনড্রাইভ সাধারণত ৪ জিবি থেকে ৬৪ জিবি পর্যন্ত পাওয়া যায়। অধিক পরিমানে যারা তথ্য সংরক্ষণ করতে চান তাদের জন্য ১২৮ জিবির পেনড্রাইভও রয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে মেমোরিটি সহজলভ্য নয়।
ইসিএস সুত্র মতে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মেমোরি ৮ এবং ১৬ জিবি। তবে ১২৮ জিবি’র মেমোরির গুণগতমান ভাল নয় বলে জানান সুত্রটি।
পেনড্রাইভ সিলেক্টের একটি জুরুরি দিক ডাটা স্পিড। বাজারে এখন ইউএসবি ৩.০ জেনারেশনের পেনড্রাইভ পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি হলেও প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪.৮ জিবি ডেটা আদান প্রদানে সক্ষম। সমস্যাও রয়েছে ইউএসবি ৩.০’তে কারণ এমন ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সুত্র মত, সবচেয়ে প্রচলিত ইউএসবি ২.০ জেনারেশন।
এছাড়া কেনার আগে অপারেটিং সিস্টেমের দিকটি খেয়াল করা ভাল। সাধারণত সব পেনড্রাইভ মাইক্রোসফট এক্সপি এবং এর পরের উইন্ডোজ ভার্সনগুলো সমর্থন করে। তবে কেউ যদি লিনাক্স কিংবা ম্যাক ইউজার হন সেক্ষেত্রে কনফার্ম হয়ে কেনা ভালো।
উল্লেখ্য, বাজারে সাধারণত ৮ জিবি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ১৬ জিবি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যারা একটু বেশি মেমরি সাইজের পেনড্রাইভ খুঁজছেন ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকায় ১৬ গিগাবাইটের পেনড্রাইভ কিনতে পারবেন। আর ৩২ জিবি পেনড্রাইভের দাম পড়বে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, অনেক সময় দেখা যায় নিম্নমানের চাইনিজ পেনড্রাইভগুলো ঠিকমত ডাটাস্টোর করে রাখতে পারে না। তাই ভাল ব্র্যান্ড, ওয়ারেন্টি দেখে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ট্রানসেন্ডে লাইফ টাইম গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪