ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম নিরাপত্তা সফ্টওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাব বাংলাদেশে তাদের সর্বাধুনিক সংস্করণ ২০১৫ সালের ইন্টারনেট সিকিউরিটি এবং অ্যান্টিভাইরাস অবমুক্ত করেছে। সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে এ নতুন সংস্করণ অবমুক্ত করা হল।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ এবং ভুটানে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের পরিবেশক অফিসএক্সট্র্যাক্টসের অফিসে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের সর্বশেষ সংস্করণ অবমুক্তকরণ উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাসপারস্কি ল্যাব এবং অফিসএক্সট্র্যাক্টস যৌথউদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ অনুষ্ঠানে ক্যাসপারস্কি ল্যাব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ডাইরেক্টর অপারেশন্স মাক্সিম মিত্রোখিন ও দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হালদে এবং অফিসএক্সট্র্যাক্টসের সিইও প্রবীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে বক্তারা, অত্যাধুনিক এ সংস্করণ অবমুক্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভিন্ন বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মাক্সিম মিত্রোখিন বলেন, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ আছে। এটি বিক্রয়ে সংখ্যাটা কোনো বিষয় নয়। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই অনেক বেশি সংখ্যায় ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বানানো সফটওয়্যার বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের প্রতি গ্রাহকদের যে ভালবাসা এবং গ্রহণযোগ্যতা তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। আর এখানকার বাজারে যা কিছু ঘটছে তার ওপর আমরা সবসময় নজর রাখছি।
ঠিক এ কারণেই বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকেই আমরা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের নতুন ২০১৫ সংস্করণের ইন্টারনেট সিকিউরিটি এবং অ্যান্টিভাইরাস অবমুক্ত করার জন্য বেছে নিয়েছি। একাজ বাস্তবায়নে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের প্রধান কার্যালয়সহ এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অফিসজুড়ে পুরো দলকে একযোগে নিরলসভাবে কর্মতৎপরতা চালাতে হয়েছে।
ক্যাসপারস্কি ল্যাব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাক্সিম মিত্রোখিনের এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ক্যাসপারস্কি ল্যাব দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হালদে জানালেন, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে প্রথম অবমুক্তকরণের সম্মান অর্জন আমার জন্য গর্বের। ক্যাসপারস্কি ল্যাবের পোর্টফোলিওর মধ্যে বাংলাদেশ একটি ইতিবাচক প্রোফাইলে অবস্থান করছে।
প্রবীর সরকার বললেন, আমি অবশ্যই গর্বিত। আমি নিজে আজ একটি ইচ্ছাপূরণের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু একই সঙ্গে আমি এবং আমার সহকর্মীরা এ ব্যাপারে খুবই সচেতন যে, এ সম্মান পাওয়ার সঙ্গে আমাদের বাড়তি দায়িত্ব যোগ হল।
ক্যাসপারস্কি ল্যাবের নতুন ২০১৫ সংস্করণে অনেক নতুন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিক কারিগরি দক্ষতা আছে। সাধারণভাবে আড়াই লাখ প্রতিষ্ঠানসহ ক্যাসপারস্কি ল্যাবের সফটওয়্যার ও প্রযুক্তিগুলো বিশ্বের তিন কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর কম্পিউটার সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
তা ছাড়া মাইক্রোসফট, আইবিএম, সিসকো, জুনিপার নেটওয়ার্কস, অ্যালকাটেল লুসেন্ট, ব্লু কোট, চেক পয়েন্ট, ডি-লিঙ্ক, জিএফআই, নেটগিয়ার, লেনোভো, ফেসবুক, কোয়ালকম এবং সেফনেটের মতো বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নামকরা ৮০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব এবং ওইএম চুক্তি সই হয়েছে।
বর্তমানে ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি নেটওয়ার্ক প্রতিদিন তিন লক্ষাধিক নতুন ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে সক্ষম। এটি যেকোনো প্রতিযোগীর চেয়ে এগিয়ে আছে। এ জন্য ক্যাসপারস্কি ল্যাব বছরজুড়ে প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, ক্যাসপারস্কি ল্যাবই মূলত দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ক্রয় করে ব্যবহার করার বিষয়টি জনপ্রিয় করেছে। এ ছাড়া বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। তাই দেশে ক্যাসপারস্কি এখন জনপ্রিয় সফটওয়্যার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৪