আগামী ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনার বেশকিছু বিষয় গৃহীত হওয়ায় বাংলাদেশ কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠন সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সাথে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের নিরিখে বাজেটে আরো কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা সময়ের দাবি বলে মনে করছে বিসিএস।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিসিএস কার্যনির্বাহী কমিটির অভিমত, আইসিটি বিভাগে বরাদ্দ ৫৩০ কোটি থেকে ৮৮০ কোটি টাকায় উন্নীত করা, ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাদির শুল্ক কমানোর প্রস্তাব, সফটওয়্যার ও সেবা খাতে ট্যাক্স হলিডে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো এবং কোম্পানির কর হার কমানোর উদ্যোগ প্রশংসাজনক। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ উদ্যোগ ইতিবাচক তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সামগ্রিকভাবে এই খাতের সুষম উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদে তথ্যপ্রযুক্তিকে শিল্পের মর্যাদায় অধিষ্টিত করতে হলে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিং অবিচ্ছেদ্য তিনটি বিষয়ের কর অবকাশ সুবিধা সম্প্রসারিত না হলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ খাতে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে না। ফলে দেশের সর্বত্র ডিজিটালাইজেশনের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়বে।
তাই চূড়ান্ত বাজেটের আগে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবে বিসিএস।
বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ এ বিষয়ে বলেন, বাজেট বক্তব্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে ‘জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর মাধ্যম’ হিসেবে আইসিটি খাতকে ঘোষণার মধ্য দিয়ে এর গুরুত্ব প্রকাশ করাটা ইতিবাচক। আর এই গুরুত্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এটিভি’র হার তিন শতাংশের বেশি থাকা সঙ্গত নয়।
এছাড়া জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়টি চুড়ান্ত বাজেটে অনুমোদিত হবে বলে আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৪