ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইন বিজ্ঞাপন রিয়েল টাইম বিডিংয়ে

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৪
অনলাইন বিজ্ঞাপন রিয়েল টাইম বিডিংয়ে

বিশ্ব ঝুঁকেছে ডিজিটালে। বিজ্ঞাপনের বাজারও চলে যাচ্ছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দখলে।

খবর বেরিয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস এখন আর তার প্রিন্ট ভার্সনের জন্য বিজ্ঞাপনে সাড়া পাচ্ছে না। অনলাইনেই ভরসা। আর এই যখন পরিস্থিতি তখন ডিজিটাল পদ্ধতিতেও আসছে নতুন নতুন কৌশল। পুরোনো কৌশলকে বাতিল করে নতুন কৌশল রাজত্ব করছে। প্রগ্রামেটিক অ্যাডভার্টাইজিং যার অন্যতম। রিপোর্ট বলছে, এর মাধ্যমে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার এখন দখল করে নিচ্ছে রিয়েল টাইম বিডিং পদ্ধতি।

বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করতে আর অনলাইনের পাঠকপ্রিয়তার বার্তা নিয়ে মার্কেটিং বিভাগের কর্মীদের ছুটতে হচ্ছে না বরং বিজ্ঞাপন নিজে এসেই ধরা দিচ্ছে রিয়েল টাইম বিডিংয়ে। ব্রাউজিংয়ের ভিত্তিতে ভাগ বাটোয়ারা হচ্ছে সেই বিজ্ঞাপনের ব্যয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিআই ইন্টলিজেন্স তার নতুন প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, রিয়েল টাইম বিডিংই এখন প্রধান বিবেচ্য বড় বড় কোম্পানিগুলোর কাছে। এরই মধ্যে দেশটির ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারের ৩৩ ভাগ দখল করে নিয়েছে এই আরটিবি পদ্ধতি। যা থেকে ২০১৮ সাল নাগাদ বিজ্ঞাপনের বাজার গিয়ে দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। যা প্রায় বাৎসরিক বাজেটের সমান। ২০১৩ সালে এই বাজার ছিলো ৩.১ বিলিয়ন ডলারের।

গবেষকরা বলছেন এই হিসাবে বছরে ৪২ শতাংশ করে বাড়বে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের আয়। আর ২০১৮ সাল নাগাদ বিজ্ঞাপন বাজারের ৫০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করবে এই প্রোগ্রামেটিক অ্যাডভার্টাইজিং পদ্ধতি।

মোবাইল ও ভিডিও বিজ্ঞাপন হবে এই এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় চালিকা শক্তি। গবেষকদের মতে আরটিবি পদ্ধতিতে ২০১৮ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন ভার্সন ৬.৮ বিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপন আয় গুনবে। আর ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় হবে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার।

এরই মধ্যে কিছু কিছু কোম্পানি তাদের আয় গুনতে শুরু করেছে প্রোগ্রামেটিক পদ্ধতির মাধ্যমে। যার অন্যতম ক্রাইটিও, রকেট ফুয়েল, রুবিকন প্রজেক্ট এবং এওএল। ২০১৩ সালে এই চারটি কোম্পানি বিশ্ববাজার থেকে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের আয় তুলে নিয়েছে। যা মোট বাজারের এক দশমাংশ।

এদিকে এ ধরনের প্রোগ্রামেটিক বিজ্ঞাপনের দরও বাড়ছে দিন দিন। চাহিদা যত বাড়ছে দর বাড়ছে সেই হারেই। প্রতি হাজার ইম্প্রেশনের দর ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।

তবে পুরোপুরি রিয়েল টাইম বিডিংয়ে পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে বলেই মত গবেষকদের। তারা কিছু কিছু বাধাও চিহ্নিত করেছেন এক্ষেত্রে। এর অন্যতম হচ্ছে ব্র্যান্ডগুলোর শঙ্কা। তারা মনে করছে এর ফলে তারা তাদের নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো দখল করে নেবে সেই নিয়ন্ত্রণ। আর এই পদ্ধতি ও এর মাধ্যমে আয়ের হিসাব নিকাশে এখনো পুরোপুরি স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হয়নি বলেও মত অনেকের।

বাংলাদেশ সময় ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।