ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আউটসোর্সিং কোম্পানীর মাধ্যমে এমআরপি কার্যক্রমের উদ্বোধন

সৌদি আরব করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪
আউটসোর্সিং কোম্পানীর মাধ্যমে এমআরপি কার্যক্রমের উদ্বোধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রিয়াদ: আউট সোর্সিং কোম্পানীর মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় রিয়াদের সেরাটন হোটেলে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।



উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

২০১৫ সালের মধ্যে সৌদি আরবে বসবাসরত সব বাংলাদেশিদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রদানের ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করবে মালয়েশিয়াভিত্তিক আউট সোর্সিং কোম্পানী আইরিশ, সৌদি আরবের কোয়াড এবং কম্পিউটার সোর্স বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, আইরিশ’র সিইও, কোয়াড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মাবুদ পিপিএম, এমআরপি এবং এমআরভি প্রজেক্টের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজজেমান খান কামাল বলেন,  বর্তমান জনবল দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এম আর পি) সম্ভব নয়। তাই এই সময়ের মধ্যে সবাইকে এম আর পি দেয়ার জন্য মুলত আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে পাসপোর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার চায়না কোন প্রবাসী কষ্টের সম্মুখীন হন।

পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক আব্দুল মাবুদ বলেন,  বর্তমান জনবল দিয়ে দৈনিক ৩শ এম আর পি এনরোলমেন্ট. (ডাটা এন্ট্রি)  করা সম্ভব। কিন্তু সৌদি আরবের সব বাংলাদেশিদেরকে ২০১৫ সালের মধ্যে  এম আর পি দিতে হলে প্রতিদিন রিয়াদে ১২ হাজার এবং জেদ্দায় ১০ হাজার এনরোলমেন্ট করতে হবে।

যারা অফিস বা ডিউটির কারণে দুতাবাস বা কন্স্যুলেটে গিয়ে এম আর পি করতে পারবেন না তাদেরকে ঘরে ঘরে গিয়ে এম আরপি দিয়ে আসা হবে বলেও জানান আব্দুল মাবুদ।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এম আর পি) প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে বিশ্বের ৫৯ টি দেশের ৬৫ টি মিশনে এই কার্যক্রম চলছে। তবে এই কাজের গতি খুব লিমিটেড। এই জনবল দিয়ে সবাইকে এম আর পি দিতে সময় লাগবে ৬/৮ বছর। কিন্তু আন্তর্জাতিক এভিয়েশন অথোরিটির বেধেঁ দেয়া সময় অনুযায়ী ২০১৫ সালের পর হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে হবে। তাই দ্রুত গতিতে এম আর পি দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ০৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।