ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিকো মন্ত্রণালয়কে নিরপেক্ষ নিলামের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫
টেলিকো মন্ত্রণালয়কে নিরপেক্ষ নিলামের আহ্বান

ঢাকা: মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে আলোচনার মাধ্যমে আসন্ন স্পেকট্রাম নিলাম আয়োজন করার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

জিএসএমএ বিশ্বজুড়ে জিএসএম মোবাইল প্রযুক্তির মান নির্ধারণ, স্থাপন এবং প্রচারণায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে।


 
জিএসএমএ থেকে সম্প্রতি পাঠানো চিঠিটি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানকেও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ডাটা সেবা বিস্তারে সহযোগিতা করার জন্য অতিরিক্ত স্পেকট্রাম অবমুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে চিঠিতে নতুন স্পেকট্রাম বরাদ্দ, স্বচ্ছতা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ করার পক্ষে মত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
 
চিঠির প্রেরক জিএসএম’র হেড অফ পলিসি জন জিউস্টি খসড়া গাইডলাইনকে একটি যথাযথ ও প্রকাশ্য আলোচনার মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে আগ্রহী পক্ষগুলো গাইডলাইন ভালোভাবে বুঝতে এবং এ বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত জানাতে পারবে। এর ফলে নিলামটি যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন তা বাংলাদেশ সরকারের একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
 
এর আগে গ্রামীণফোন নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। কারণ খসড়া নিলাম গাইডলাইনের একটি শর্তে মনোপলি নিরুৎসাহিত করার কথা বলে ১৮০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিলামে গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এদিকে, গ্রামীণফোন নিলাম আয়োজনের আগে বিগত ৩জি নিলামের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে অমিমাংসিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সামাধান দাবি করেছে।
 
গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, আমরা সবার অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নিলামের দাবি জানিয়ে আসছি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে কর্তৃপক্ষের এ পথটিই অনুসরণ করা উচিত, যার ফলে এই শিল্প এবং দেশ উভয়ই উপকৃত হবে।
 
খসড়া গাইডলাইনে বৈষম্যমূলক শর্তের কথা উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের সিংহভাগ শেয়ারের মালিক টেলিনর গ্রুপ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ বিজনেস এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট হাকন ব্রুয়াসেট জল বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল সম্ভাবনার দ্বার খুলতে অপারেটরদের জন্য সময়মত স্পেকট্রাম উম্মুক্ত করতে হবে, যা বৈষম্যহীন ভাবে তরঙ্গের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহী গ্রাহকদের অধিকার। তবে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আইনকানুন ও কর নীতির ক্ষেত্রে অনুমানযোগ্য পরিবেশের উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে। যখন সেরকম পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে তখনই স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
 
স্পেকট্রাম সম্পদ প্রবৃদ্ধির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক কাভারেজ সম্প্রসারণ, ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষভাবে নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনের ক্ষমতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬.৫ ভাগ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন ব্যবহার। ধারণা করা হয় যে, নিরপেক্ষ স্পেকট্রাম নিলাম মোবাইল ব্রডব্যান্ডের বিস্তারকে গতিশীল করবে এবং বাংলাদেশকে একটি ডিজিটালভাবে ক্ষমতাশীল সমাজ এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।