আলো এবং আলোক-প্রযুক্তিগুলো কীভাবে মানুষের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করছে, জীবনকে সহজ করছে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং ভবিষ্যতে কীভাবে আরো ব্যাপক মাত্রায় অবদান রাখা যায় সে লক্ষ্যে জাতিসংঘ ‘২০১৫ সালকে আন্তর্জাতিক আলো এবং আলোক-প্রযুক্তি’ বছর হিসেবে ঘোষণা করছে।
বছরটি উদযাপনে পৃথিবীর প্রায় ৮৫টির বেশি দেশের ১০০টির বেশি সংস্থা ইউনেস্কোর সাথে কাজ করছে।
ঢকায় স্কলাস্টিকা স্কুলের উত্তরা ক্যাম্পাস এবং বিজ্ঞান জনপ্রয়িকরণ সমিতির (এসপিএসবি) র্কাযালয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় দুটি কর্মশালা। ‘আলোর ঝিলিক’ নামে এই কর্মশালায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আলোর বিভিন্ন পরীক্ষণ সম্পর্কে হাতে-কলমে বোঝানো হয়।
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী কর্মশালা দুটিতে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, বিক্ষেপণ, পোলারায়ন, ব্যতিচারসহ আলোর বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া সাধারণ ব্যবহার্য উপাদান দিয়ে বানানো হয় পেরিস্কোপ ও ক্যালাইডোস্কোপ। লেজার, অপটিক্যাল ফাইবার, নিউটনের রিং, প্রিজমসহ মজার সব উপকরণের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় আলোর নানা র্ধম এবং বৈশিষ্ট্য।
পরীক্ষণগুলো দেখানোর জন্য সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা পুনরায় পরীক্ষাগুলি করে দখেতে পারে।
র্কমশালা পরিচালনা করেন বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির অ্যাকাডেমিক কো-অর্ডিনেটর শিবলী বনি সারওয়ার, ইবরাহিম মুদ্দাচ্ছের এবং মো:জুনায়িদুল ইসলাম।
“আলোর একটা বিশাল জগতে আমাদের বসবাস। কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে সব বাধা নিয়মের বাইরে আলোর এই জগৎকে এতো অল্প সময়ে সাধারণ উপকরণের সাহায্যে পাওয়া আসলেই নতুন অভজ্ঞিতা বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। ”
দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলার, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রদর্শনী, ওর্য়াকশপ, ডকুমেন্টরি, এক্সজিবিশন, পাবলিক লেকচার, বিজ্ঞান উৎসব,কুইজ, বিজ্ঞান ক্যাম্প, টেলিস্কোপে আকাশ দেখা, এক্সপেরিমেন্ট দেখানো সহ নানা কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে ‘এসপিএসবি’।
উল্লেখ্য, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন আলোক বিষয়ে কোনো অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী হয় তবে ‘এসপিবিপিএস’র সাথে যৌথভাবে আয়োজন করার সুযোগ পাবে।
আরো জানা যাবে এই সাইটে www.spsb.org/iyl এছাড়া এ বিষয়ে কোনো ধরনের পরার্মশ বা পরকিল্পনা থাকলে এই ঠিকানায় [email protected] জানানো যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫