ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০১৫ অবমুক্ত করেছে হুয়াই

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০১৫ অবমুক্ত করেছে হুয়াই

গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০১৫ (জিসিআই) অবমুক্ত করেছে চীনের প্রযুক্তিপণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াই।

এতে কানেক্টিভিটি বা ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, আইসিটির ব্যবহার এবং ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তিতে বিশ্বের ৫০টি অর্থনীতি সমৃদ্ধ দেশকে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।

এই ইনডেক্স বা তালিকার মাধ্যমে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দেশ কোনগুলো তা বোঝা যায়।

হুয়াইয়ের এই ইনডেক্স প্রকাশের অন্যতম লক্ষ্য যেসব দেশ ডিজিটাল অর্থনীতির ধারায় প্রবেশ করতে চায় তাদের আইসিটিভিত্তিক নীতি নির্ধারণে সহায়তা করা।

সুত্র মতে, ২০১৫ সালের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স আগের থেকে আরও উন্নত করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এত দ্বিগুণ আইসিটি ভিত্তিক বিষয় এবং দেশকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।

জিসিআই ২০১৫ এর সাহায্যে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং তাদের স্টেকহোল্ডাররা আইসিটি সংক্রান্ত বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবেন। সমমানের অন্যান্য ইনডেক্স বা সূচকের সাথে এর মৌলিক পার্থক্য হলো এই ইনডেক্স নেটওয়ার্ক, কম্পিউটিং এবং স্টোরেজ এর মত উপাদানকে হিসাবে রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অনঅবকাঠামোগত উপাদান যেমন সেবার চাহিদা এবং ই-কমার্স কার্যক্রম সহ বিভিন্ন বিষয়কে সূচকের হিসাবের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

জিসিআই এর জরিপকৃত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবার শীর্ষস্থানে রয়েছে। দেশটির শীর্ষস্থান প্রাপ্তির নেপথ্যে রয়েছে, আইসিটি সেবার জন্য এর বিশাল চাহিদা ও যোগান এবং আইসিটি সেবায় রুপান্তরের জন্য এর উন্নত অবস্থান। জিসিআই সূচকের শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্যদেশগুলো হলো সুইডেন, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য।

আর উন্নয়নশীল বাজারগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিলি, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিনটি দেশের অবস্থানই ১০ থেকে ২০ এর মধ্যে। উন্নত দেশগুলোর মত এসব দেশে রয়েছে শক্তিশালী মোবাইল গ্রহনযোগ্যতা। তবে দেশগুলোতে আইসিটি অবকাঠামোর অন্যান্য উপাদানের অনুপস্থিতি রয়েছে এবং উন্নত দেশগুলোর তুলনায় ডাটা সেন্টারে বিনিয়োগ প্রায় তিনগুণ কম।

এ বছরের জিসিআই এর তথ্য মতে, আইসিটি বিনিয়োগের ২০% বৃদ্ধিতে দেশের জিডিপি ১% বৃদ্ধি হবে। ডিজিটালে রুপান্তরের জন্য জিসিআই ডাটা সেন্টার, ক্লাউড সেবা, বিগ ডাটা, ব্রডব্যান্ড এবং ইন্টারনেট অফ থিংস এই ৫টি বিষয় চিহ্রিত করেছে।

তাই স্টেকহোল্ডারদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই সমস্ত দিকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে যাতে তাদের অর্থনীতিকে ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত এবং রুপান্তর করতে পারেন।

পৃথিবীর প্রায়ই দেশই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে ক্রমশ ডিজিটাল হচ্ছে। তাই হুয়াই এই ইনডেক্স প্রকাশ করেছে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে এবং কেন তা স্পষ্ট করতে।

হুয়াই কর্পোরেট মার্কেটিং এর প্রেসিডেন্ট কেভিন ঝ্যাং বলেন “গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের একটি তালিকা নয়। আমরা এটিকে দেখি একটি মঞ্চ হিসেবে যেখনে নীতি-নির্ধারক এবং শিল্প নেতারা ডিজিটাল অর্থনীতির সুযোগ তৈরী করতে পারবেন যাতে একটি সংযুক্ত পৃথিবী গড়া যায়। ” হুয়াওয়ে গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স সম্পর্কে আরো জানা যাবে এই www.huawei.com/gci  ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।