ঢাকা: বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের উন্নত জীবন গড়বার লক্ষ্যে এবং দেশের উন্নয়নের অংশীদার হবার মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে, উন্নত পেশার প্রফেশনাল আইটি কোর্সে পুনরায় বৃত্তি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক। এবার ওরাকল ডিবিএ ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোর্সে ৫০ জনকে বৃত্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃত্তি স্কিমে আবেদন করার জন্য প্রার্থীকে থাকতে হবে বিজ্ঞানের যেকোনো বিষয়ে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি ও কম্পিউটার ব্যবহারের প্রাথমিক দক্ষতা (এমএস অফিস ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং)। আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও এক কপি ছবিসহ [email protected] ই-মেইলে আবেদন করতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ মে, ২০১৫।
এ বিষয়ে পিপলএনটেক’র উপদেষ্টা ও ইউল্যাবের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ১০ হাজার আইটি গ্রাজুয়েট তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গেল বছরের ২৪ অক্টোবর ঢাকায় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন কোর্সে ৫০ জনকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও ৫০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াই পিপলএনটেক’র মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং পাশাপাশি কার্যকরী দক্ষতা বাড়ানো বা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলাদেশের মূল সম্পদ হচ্ছে জনসম্পদ। আর এ জনসম্পদকে আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে, অদূর ভবিষ্যতে এটাই হবে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
বর্তমানে পিপলএনটেক’র প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের ৩টি, ডেক্সটপ অ্যান্ড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের ১টি, ওরাকল ট্রেনিংয়ের ১টি ও ইংরেজির ২টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ চলছে। আউট সোর্সিংয়ে বাংলাদেশের নাম কেবল ডেটা এন্ট্রির তালিকা থেকে উন্নীত করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে এসব কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহের কারণে, এ সংখ্যা অদূর ভবিষ্যতে কয়েক হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিপলএনটেক’র ঢাকা শাখার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার শেখ দুর্জয় জামান জানান, আইটি প্রশিক্ষণ ছাড়াও এখানকার শিক্ষার্থীদেরকে পেশাদার ক্ষেত্রের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত দেখা যায়, আইটি থেকে পড়েও সবাইকে শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ শিখতে হয়। কিন্তু পিপলএনটেক এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে কার্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষিত এবং বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার মধ্য দিয়ে তারা এখান থেকেই পেশাদারীত্ব অর্জনে সক্ষম হবেন।
এখানে প্রফেশনাল সিভি তৈরি থেকে শুরু করে, সবার জন্য মক ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে চাকরি পাওয়াসহ আউট সোর্সিংয়ে কাজ পাওয়া নিশ্চিত হয়। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও জব প্লেসমেন্টের জন্য একটি রিক্রুটমেন্ট টিম নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে কাজ করবেন বলে তিনি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক’র শাখা রয়েছে এস্টোরিয়া, ব্রুকলিন, নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়ায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে শাখা রয়েছে বাংলাদেশসহ কানাডা ও ভারতে।
‘পিপলএনটেক’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির বিশাল কর্মযজ্ঞের ফলস্বরূপ এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের আইটি বাজারে প্রায় চার হাজার নাগরিক ও অভিবাসী শিক্ষার্থীকে চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে আইটি কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ ডলার বেতনে কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রাপ্তির মাধ্যমে যারা যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারা সেদেশে আগমনের আগেই বাংলাদেশ থেকে পিপলএনটেক’র কোর্সগুলো সম্পন্ন করে, সেখানে অবতরণের স্বল্প সময়ের মধ্যেই আইটি সেক্টরে অনায়াসে কাঙ্ক্ষিত চাকরি লাভের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শাখাগুলোতে সফটওয়্যার টেস্টিং কোর্সের পরবর্তী ব্যাচ শুরু হবে আগামী ২৩ মে থেকে।
যোগাযোগ: www.piit.us, phone: +8801611446699, +8801799446655
www.facebook.com/peoplentech
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এসএস