ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রবীণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের হার মাত্র ১ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
প্রবীণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের হার মাত্র ১ শতাংশ

ঢাকা: এশিয়া মহাদেশের প্রবীণদের নিয়ে টেলিনর গ্রুপ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ইন্টারনেটের প্রকৃত সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রবীণেরা। প্রবীণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা কম হওয়ায় এ ফল পেয়েছে টেলিনর।



বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বৃহস্পতিবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, যখন এশিয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট দ্রুত প্রসার লাভ করছে, তখন এশিয়ার চারটি দেশে পরিচালিত টেলিনর গ্রুপের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যে এসব সমাজের সবাই এর প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না।

টেলিনর পরিচালিত ‘এশিয়ার সংযোগহীন প্রবীণ জনগোষ্ঠী’ শিরোনামে এ সমীক্ষার ক্রেতা সংক্রান্ত ডাটা/তথ্য টেলিনরের চারটি মার্কেট যথাক্রমে ভারত, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ দেশগুলোর কোনো কোনোটিতে প্রবীণদের মধ্যে সক্রিয় মোবাইল ব্যবহারকারী মাত্র ২ শতাংশ এবং তাদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও কম।

টেলিনরের বাংলাদেশের কোম্পানি গ্রামীণফোন লক্ষ্য করেছে যে, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী গ্রাহক মাত্র ২ শতাংশ যা গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ১০ লাখ। তাদের মধ্যে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার সামগ্রিক ব্যবহারের তুলনায় অর্ধেকে নেমে গেছে।

বয়স্ক নারীদের মধ্যে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার আরও কম। ৬৫ বছর বা এর অধিক বয়সী নারীদের মধ্যে মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ডাটা ব্যবহার করে থাকেন, যার পরিমাণ একই বয়সী পুরুষদের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ৬৫ বছর বা তার অধিক বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক যারা এ সমীক্ষার আওতায় ছিলেন, তাদের মাত্র ১ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।

টেলিনরের একই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতে এ বয়সী প্রবীণ সমাজের অধিকাংশই প্রাথমিক সুবিধা সম্বলিত ফোনই ব্যবহার করে থাকেন।

টেলিনর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এশীয় অঞ্চলের হেড অব অপারেশনস সিগভে ব্রেক্কে বলেন, আমাদের ইন্টারনেট অব অল লক্ষ্যের প্রেক্ষিতে এশীয় অঞ্চলের প্রবীণ জনগোষ্ঠী মোবাইল ও ইন্টারনেটের প্রকৃত সুবিধার আওতার বাইরে থাকাটা টেলিনরের জন্য একটি উদ্বিগ্ন হবার মতো ব্যপার।

সামাজিক জীবনে যোগাযোগ রক্ষায় এবং কিছু মৌলিক সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অদূর ভবিষ্যতে অনিবার্য হয়ে উঠবে। সে কারণে এ তথ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পলিসি নির্ধারণকারী, পরিবার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চল যেখানে আগামীতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, মূলত সেই অঞ্চলগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের এ লক্ষ্যে কাজ করতে হবে, যাতে শুধুমাত্র তরুণ জনগোষ্ঠী নয়, সবার জন্য এ ধরনের মোবাইল যোগাযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।