ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি এক্সপো ’১৫

হরতালে দর্শনার্থী কম হওয়ার আশঙ্কা

আবু তালহা, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
হরতালে দর্শনার্থী কম হওয়ার আশঙ্কা ছবি: জি এম মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রতিচিত্র তুলে ধরতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৫’।

বুধবার (১৭ জুন) তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিনে নির্ধারিত সময় ১০টায় প্রযুক্তিপ্রেমী দর্শনার্থীদের জন্য মেলার দ্বার উন্মোচন করা হয়।

মেলার প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও শেষ দিনের চিত্র একেবারেই উল্টো।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিকাংশ স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিলো ফাঁকা।

মঙ্গলবার প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগ্রহের কারণে নির্ধারিত সময় রাত ৮টার পরিবর্তে একঘণ্টা সময় বাড়িয়ে রাত ৯টা শেষ করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

হরতাল শেষ দিনে দর্শনার্থী কম হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন অনেকে।

বিভিন্ন স্টলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা বলেন, বিগত সময়ে হরতালে নাশকতার কারণে এখনও সাধারণ মানুষের মনে ভয় রয়েছে। যে কারণে হরতাল হলেই পুরো শহর তুলনামূলক ফাঁকা হয়ে যায়।

ইন্টেল সেমিকন্ডাক্টর (ইউএস) প্যাভিলিয়নে দায়িত্বরত হামিদুর রহমান জানান, হরতালের কিছুটা প্রভাব মেলায় পড়তে পারে। তবে আগ্রহী অনেকেই এর মধ্যে এসেছেন। আশা করা যাচ্ছে বিকেলে কিছু দর্শনার্থী আসবেন।

দোয়েল ল্যাপটপ প্ল্যান সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. এ কে আজাদ বলেন, হরতালের কিছুটা প্রভাব আজকের মেলায় পড়েছে, তবে আশা করছি বিকেল নাগাদ ভিড় হবে।

সনির মার্কেটিং অফিসার তাজনিন তামান্না বলেন, দর্শনার্থীরা খুব একটা আসছে না। দ্বিতীয় দিনে যে পরিমাণ ভিড় হয়েছিলো, শেষ দিনে আমাদের প্রত্যাশা ছিলো আরও বেশি মানুষ আসবেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহ-সভাপতি ও মেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান স্বপন বলেন, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। হরতালের কিছুটা প্রভাব রয়েছে, তবে এর মধ্যেও প্রযুক্তিপ্রেমীরা আসছেন। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সেমিনারেও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
ITC_01_banglanews24
এর আগে সোমবার (১৫ জুন) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এ প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করেছে।

আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বেসিস, সিটিও ফোরাম এবং আইএসপিএবি।

মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ডেল ও এইচপি, গোল্ড স্পন্সর কনিকা মিনোল্টা ও মাইক্রোল্যাব এবং সিলভার স্পন্সর প্রোলিংক ও এন আরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড।

মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে এটিএন বাংলা, এফ এম ৮৯.৬ ও দৈনিক সমকাল।

বুধবার (১৭ জুন) রাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।