ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দৈনন্দিন জীবনে আমূল পরিবর্তন আনবে 'আইওটি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
দৈনন্দিন জীবনে আমূল পরিবর্তন আনবে 'আইওটি’ ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছে। অভিনব সব প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবন।

প্রযুক্তির অভিনবত্ব গ্রহণ করা এখন সময়ের ব্যপার। এছাড়া অভিনব প্রযুক্তি ‘আইওটি (ইন্টারনেট অব থিঙ্ক)’ আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও আমূল পরিবর্তন আনবে।

প্রযুক্তির উদ্ভাবন, ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা নিয়ে ‘ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে এমনটাই বললেন বক্তারা। বুধবার (১৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী আইসিসটি এক্সপোর শেষ দিন মিডিয়া বাজার মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।  

সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম। আলোচনায় তিনি ব্যাটারি প্রযুক্তি, প্রযুক্তির নিরাপত্তা-সুরক্ষা, থ্রিডি প্রিন্টিং, নতুন প্রযুক্তি গ্রাফিনসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
 
প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ভাইরাস ও হ্যাকিং থেকে নিরাপদ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে এ সম্পর্কে জানতে হবে। ভাইরাস থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে নিরাপদ রাখতে হলে প্রথমেই জানা আবশ্যক ভাইরাস কি? কীভাবে ভাইরাস কাজ করে? ঠিক এমনিভাবে হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে গেলেও হ্যাকিং কি, কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয় তা জানতে হবে।
 
সেমিনারে থ্রিডি প্রিন্টিং নিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ (থ্রিডি প্রিন্টিং) এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তর কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি আমাদের সব ধরনের উৎপাদন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে।

ভবিষ্যতে থ্রিডি প্রিন্টিং কৃত্রিম প্রত্যঙ্গ তৈরি ছাড়াও চিকিৎসা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মেট্রোনেস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বেসিস’র পরিচালক আশরাফ আবির।
এর আগে সোমবার (১৫ জুন) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এ প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করেছে।

আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বেসিস, সিটিও ফোরাম এবং আইএসপিএবি।

মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ডেল ও এইচপি, গোল্ড স্পন্সর কনিকা মিনোল্টা ও মাইক্রোল্যাব এবং সিলভার স্পন্সর প্রোলিংক ও এন আরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড।

মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে এটিএন বাংলা, এফ এম ৮৯.৬ ও দৈনিক সমকাল।

বুধবার (১৭ জুন) রাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এমএইচপি/

** পেনড্রাইভ আকৃতির ‘কম্পিউটার’
** হরতালে দর্শনার্থী কম হওয়ার আশঙ্কা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।