ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবৈধ সিম বন্ধে বিজ্ঞাপন-প্রশিক্ষণ

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
অবৈধ সিম বন্ধে বিজ্ঞাপন-প্রশিক্ষণ

ঢাকা: বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি নিবন্ধনহীন সিম ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ও ব্যবহার রোধে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার ও ডিস্ট্রিবিউটর-রিটেইলারদের প্রশিক্ষণের চিন্তা-ভাবনা করছে কমিশন।


 
অপরাধ এড়াতে অবৈধ অর্থাৎ নিবন্ধনহীন সিমের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে অভিযানের পাশাপাশি, এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
 
নিয়মানুযায়ী, মোবাইল সিম কেনার আগে একটি ফরম পূরণ, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পর সিমটি অ্যাক্টিভ হয়। কিন্তু বাজারে অনিবন্ধিত সিম কেনা-বেচা হয়ে আসছে। কেনার পরপরই তা অ্যাক্টিভ অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে অপরাধীরা সহজেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারছেন।
 
বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, মোবাইল অপারেটর থেকে নিবন্ধিত ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার হয়ে গ্রাহকের হাতে সিম পৌঁছায়। কিন্তু কিছু রিটেইলারদের মাধ্যমে অনিবন্ধিত সিম গ্রাহকের হাতে চলে যাচ্ছে। এতে সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। তারা নানারকম অপরাধ করছে। এ কারণে তাদের চিহ্নিত করাও কঠিন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিবন্ধনহীন সিম বিক্রি বন্ধে একাধিকবার বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছে।
 
এ বিষয়ে বিটিআরসি’র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খাঁন শনিবার (২৯ আগস্ট) বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধ সিম ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয়-সরবরাহ করা অপরাধ এবং এজন্য শাস্তি ও আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।
 
সরকার নির্ধারিত সঠিক নিবন্ধিত সিম ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে। সিম কেনার আগে সেটি চালু কি-না তা যাচাই করার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।
 
এদিকে, অবৈধ মোবাইল সিমের বিরুদ্ধে বিটিআরসি’র অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কয়েক দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বেশকিছু সিম জব্দ ও জরিমানা করেছে কমিশন। এতে নেতৃত্ব দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
খুচরা সিম বিক্রেতাদেরকে মোবাইল অপারেটর নির্ধারিত সিম বিক্রির পরামর্শ দিয়েছে বিটিআরসি।
 
বিটিআরসি জানায়, নিবন্ধিত ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের নির্দিষ্ট আইডি দেওয়া থাকে। সে অনুযায়ী তারা সিম বিক্রি করে থাকেন। এর বাইরেও অনিবন্ধিত সিম বিক্রি হয়।  
 
অভিযানে কী কারণে কারা সিম অ্যাকটিভ করছে তা বের করবে বিটিআরসি। অপারেটর বা কারা বিক্রির আগে সিম অ্যাকটিভ করছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে।

বিটিআরসি’র বিধান অনুযায়ী, ১০ বছরের জেল থেকে জরিমানা হতে পারে ৩শ কোটি টাকা পর্যন্ত।
 
গত ১৬ আগস্ট সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বিটিআরসি’র একটি মোবাইল টিম রয়েছে। কোন চক্রের মাধ্যমে অনিবন্ধিত সিম অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে সেই সূত্রটি ধরতে চাই।

অনিবন্ধিত সিম বাজেয়াপ্ত করার কথাও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলোদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।