ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতে দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
দেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতে দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারি ও বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির উদ্যোগে বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন খাত দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
 
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড’র আয়োজনে ‘টেলিকম সেবাদাতাদের কার্যকরী অবকাঠামো: আন্তর্জাতিক অবকাঠামো সম্মেলন’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।


 
এইচ টি ইমাম বলেন, বর্তমানে দেশে ১২ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ৭ লাখের বেশি। ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানির মধ্যে ৫টি কোম্পানি সারাদেশে থ্রি জি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছর এই সেবা ফোর জিতে উন্নত করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের ভিশন-২০২১ এর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। এই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা আরও সহজতর করতে কাজ করে যাচ্ছে।
 
দেশে টেলিযোগাযোগের অবকাঠামোকে আরও উন্নত করার দিকে নজর দিচ্ছে সরকার মন্তব্য করে এইচ টি ইমাম বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ইডটকো তাদের টাওয়ার সেবা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাদের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি ইডটকো বাংলাদেশে টেলিযোগোযোগ অবকাঠামো ব্যবস্থার আরও উন্নয়নে অবদান রাখবে।
 
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রোটিলিন্ডোর স্টিফেন ডি উইস। তিনি বলেন, ইডটকো প্রধানত দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সমন্বয় করে। ভিন্ন ভিন্ন টাওয়ার নয়, একটি টাওয়ার থেকেই ইডটকো সব কোম্পানির নেটওয়ার্কের সেবা দিয়ে থাকে।
 
তিনি আরও বলেন, ইডটকোর সেবা মাধ্যমে এখন থেকে বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহক সেবায় নেটওয়ার্ক বাড়াতে আরো বেশি মনযোগী হতে পারবে।
 
স্টিফেন ডি উইস বলেন, পূর্বে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে নেটওয়ার্ক টাওয়ার নির্মাণ নিয়ে বহু সময় ও খরচ করে ঝামেলা পোহাতে হতো। কিন্তু এখন থেকে তারা সেই সমস্যা মোকাবেলা ছাড়াই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্র বাড়াতে পারবে।
 
তিনি বলেন, ইডটকো মনোপোল টাওয়ার ও সিটি টাওয়ার বা ক্যামোফ্লেজ টাওয়ারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং সেবা দিয়ে থাকে। মনোপোল টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে নগরীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে জমি সাশ্রয় করবে। আর সিটি টাওয়ার নগরীর কোনো শপিং মলে স্থাপন করে (এলইডি স্ক্রিনের মতো) আশেপাশে নেটওয়ার্ক সেবা দেবে।
 International_Summit
ইডটকো ইতোমধ্যে এশিয়ার মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়ায় টাওয়ার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।

ইডটকো গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, ইডটকো গ্রুপ টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা, কোম্পানির টাওয়ার, এনার্জি, ট্রান্সমিশন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
 
ইডটকো কম খরচে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা দিয়ে থাকে। ইডটকো যে দেশেই তাদের সেবা চালু করেছে, সে দেশের রাষ্ট্রীয় রীতি-নীতি মেনে চলে বলেও জানান বক্তারা।
 
সম্মেলনে হোটেল চত্বরে ইডটকো টেলিযোগাযোগের আধুনিক অবকাঠামো নিয়ে একটি প্রতীকী প্রদর্শনী তুলে ধরে। এ সময় একটি ড্রোনের মাধ্যমে প্রতীকী মনোপোল টাওয়ার, ক্যামোফ্লেজ টাওয়ার ও উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন ইকো সেন্টারের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাইটগুলো দেখানো হয়।
 
সম্মেলনে ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যারিয়েল সিনাপ্পা, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নরালিন বিনতে ওথম্যান ও টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
 টিএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।