ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণফোনের ‘মাই স্টাডি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণফোনের ‘মাই স্টাডি’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: টেলিনর ডিজিটালের সঙ্গে যৌথভাবে ‘মাই স্টাডি’ প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক হাই স্কুলে বুধবার (১১ নভেম্বর) অ্যাপটির উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমাদ।


 
টেলিনর ডিজিটাল মোবাইলের মাধ্যমে শেখার অ্যাপ ‘মাই স্টাডি’ তৈরি করেছে, আর গ্রাহকদের জন্য অ্যাপটি নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন।
 
গ্রামীণফোনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাপটি তৈরি হয়েছে। অ্যাপটিতে আপাতত জাতীয় পাঠ্যক্রমের গণিত ও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
 
প্রাথমিকভাবে করা কর্মসূচি উদ্বোধনে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় গ্রামীণফোনের আরেকটি উদ্যোগ ‘মাই স্টাডি’। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আরও স্বাচ্ছ্যন্দে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করবে অ্যাপটি।
 
দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রে শহুরে ও গ্রামীণ স্কুলগুলোর মধ্যে যে অসমতা, তা দূর করার মাধ্যমে ইন্টারনেট কীভাবে শিক্ষা বিপ্লবের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে প্রকল্পটি তার একটি দৃষ্টান্ত।
অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরির মূল উদ্দেশ্য হলো, এটা সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পূরক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি বুঝতে ও শিখতে সহায়তা করবে এবং বোর্ড পরীক্ষার জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করবে। গুগল প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে।
 
অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিষয় সংশ্লিষ্ট তথ্য কনটেন্ট পাবে ও তারা নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারবে। যেক্ষেত্রে তাদের উন্নতি করা দরকার সে ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাবে।
 
অ্যাপটিতে বাবা-মায়েদের জন্যও একটি মডিউল থাকবে, যার মাধ্যমে তারা তাদের সন্তানদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
 
বাংলাদেশে মোবাইল ইকো-সিস্টেমের বিস্তারে ‘মাই স্টাডি’ অ্যাপটি টেলিনর ডিজিটালের আরেকটি উদ্যোগ- এ উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিনরের হেড অব প্রোডাক্ট ইনোভেশন গানার সেলেগ বলেন, কীভাবে শুধুমাত্র কথা বলার অনুষঙ্গ থেকে সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপযোগিতা ও কার্যকারিতা আরও বাড়ানো যায় তার একটি নিদর্শন এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন।
 
তিনিও আরও বলেন, শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনকে সহায়তা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
 
রাজধানীর আরামবাগে অবস্থিত প্রকল্পটি বাংলাদেশ ব্যাংক হাই স্কুলে ৩০০ অতিথির সামনে উন্মোচন করা হয়। অতিথিদের মধ্যে শিক্ষার্থী, বাবা-মা, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
চার মাসে দেশজুড়ে ১০টি নির্বাচিত স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। এ বছরের নভেম্বর মাস থেকে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রকল্পটি চলবে। এটি ব্যবহারের প্রচারণা অনলাইন মিডিয়া ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চালানো হবে। ভবিষ্যতে অ্যাপটির প্রাথমিক উদ্যোগের বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতের ওপর ভিত্তিতে আরও অনেক বিষয় যুক্ত করা হবে।
 
কন্টেন্টসহ অন্যান্য বিষয় স্বনামধন্য স্কুল শিক্ষকরা তৈরি করবেন। বাংলাদেশে সফলভাবে চললে টেলিনর ডিজিটাল অন্যান্য বাজারেও অ্যাপটি চালু করবে।
 
স্কুলে পাইলট প্রকল্পের সময় ডিভাইস সেবা দিবে সিম্ফনি। ‍এ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য গ্রামীণফোনের প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষেত্রে অবদান রাখা এবং দেশজুড়ে মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার শূন্যতা পূরণে সেতু নির্মাণ করা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।