ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কৃষকরা পাবেন ন্যায্যমূল্য

এবার ধান-চাল কেনায় ডিজিটালাইজেশন

সুকুমার সরকার, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এবার ধান-চাল কেনায় ডিজিটালাইজেশন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ধান-চাল ক্রয়ে কৃষককে সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত এবং মধ্যসত্ত্বভোগীর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি)’ প্রকল্প খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ডিজিটালাইজেশন করতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংকে নিয়োগ দিয়েছে।



আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ছয়মাসের মধ্যে খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ডিজিটালাইজেশনের সফটওয়্যার চালিত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবে।

এ অ্যাপ্লিকেশনটিতে কৃষকদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, তাদের উৎপাদিত ধানের পরিমাণের তথ্য এবং কৃষককে অনলাইনে ও ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ধান ক্রয়ের তথ্য জানানোর বিধানসহ আরও কিছু ব্যবস্থা যুক্ত থাকছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলানিউজকে জানান, সরকার ধান ক্রয়ে মধ্যসত্ত্বভোগীর হস্তক্ষেপ বন্ধ করে কৃষকদের প্রতি কেজি ধান বা চালের সরকার নির্ধারিত মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাদ্য সংগ্রহের সনাতন পদ্ধতিকে ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতির ডিজিটালাইজেশন করা হলে একজন কৃষক ক্ষুদে বার্তা বা অনলাইনে পাঠানো বার্তা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জেনে তার উৎপাদিত ধান ও চাল সরাসরি স্থানীয় খাদ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারবেন।
 
এর ফলে মধ্যসত্ত্বভোগী যারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল কিনে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করেন, তাদের সে সুযোগ থাকবে না।

বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রতি বছর বোরো মৌসুমে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিকটন ধান ও চাল কিনে থাকে। কিন্তু প্রচলিত খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতিতে কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্য পান না বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিসিসি’র এলআইসিটি প্রকল্পের উদ্যোগে খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ পদ্ধতি ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এ ধরনের অভিযোগ আর শোনা যাবে না।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের (এলআইসিটি) উপ-প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, খাদ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ার বিষয়টি সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি রোডম্যাপ প্রণয়নের অংশ।

তিনি বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একটি আইটি নেটওয়ার্ক ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও আন্তঃপরিবাহিতা নিশ্চিত করবে।   

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এসএস/এএসআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।