ঢাকা: ২০১৬ এর মধ্যে মধ্যে দেশজুড়ে বিদ্যমান ১০ হাজার বেইজ স্টেশনের সবগুলোকে থ্রিজিতে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। ২০১৩ সালের শেষের দিকে থ্রিজি সেবা চালু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮৩১টি বেইজ স্টেশনকে থ্রিজিতে রূপান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
টেলিনর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিগভে ব্রেক্কের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই ঘোষণা দেন গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ২০১৫ সালে ৩৪০১টি স্টেশন থ্রিজি সেবাদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। বছর শেষে সারা দেশজুড়ে গ্রামীণফোন ৫ হাজার ৮শ’ ৩১টি সাইটের মাধ্যমে থ্রিজি সেবা প্রদানে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ২০১৫ সালে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করেছি। এই ধারা বজায় রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে আমরা আরও ১৭শ’ থ্রিজি বেইজ স্টেশন স্থাপন করবো। এর ফলে, এ সময়ের মধ্যে আমাদের গ্রাহকদের ৯০ শতাংশ থ্রিজি সেবার আওতাধীন হবেন। এই ১০ হাজার থ্রিজি বেইজ স্টেশন দেশের মোবাইল শিল্পে স্থাপিত মোট বেইজ স্টেশনের শতকরা ৬০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে টেলিনর গ্রুপের সিইও সিগভে ব্রেক্কে নির্দিষ্ট করে বলেন, গ্রামীণফোন ভয়েস কমুনিকেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ রূপান্তরের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক ও ডাটা সেবা খাতেই উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করেনি, প্রতিষ্ঠানটি টেলিনরের সহায়তায় শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যখাতে নতুন ডিজিটাল কন্টেন্ট ও সমৃদ্ধ ই-সেবা চালু করেছে। যেসব সেবা ইতিমধ্যে উল্লেখ্য খাতগুলোয় এর কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে ও গ্রাহকদের আস্থা লাভ করেছে।
দেশজুড়ে সমভাবে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি দহগ্রাম ও গড়াতির মতো সাবেক ছিটমহল এবং অন্যান্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে থ্রিজি সেবা দেয়ার কথা বলেন শেঠি। তিনি দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও থ্রিজি সেবা বিস্তারকে প্রতিষ্ঠানটির ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ প্রদানের উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরআই