ঢাকা: মোবাইলফোন গ্রাহকদের কলড্রপ মনিটর করার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মোবাইলফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং এই বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এ নির্দেশ দেন।
তারানা হালিম বলেন, কলড্রপে ক্ষতি পূরণের নির্দেশনা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পরপরই কার্যকর করার কথা।
সচিব বলেন, অ্যাকশনে (নির্দেশনা) যাওয়ার পর মনিটরিং হচ্ছে কি না- বিটিআরসি এটা মনিটরিং করবে। প্রতিমন্ত্রী বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন এটা মনিটর করার জন্য যাতে গ্রাহকরা বেনিফিট পায়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মুহমুদ বলেন, এটার জন্য নির্দেশ আছে, এখন না করলে পরবর্তীতে আবারও বসবো। গ্রাহকদের উপর মনিটরিং অনেকখানি নির্ভর করে, আমরা যদি সঠিকভাবে জানতে পারি, যে কোন গ্রাহক কতবার কলড্রপ করলো বা ক্ষতিপূরণ পেল না, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের কাছে এলে সুবিধা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিআরসিকে বিনামূল্যে ফোন করে গ্রহকরা জানাবে, আপনারা মনিটর করবেন অভিযোগ কতখানি সত্য। আইটিইউয়ের (আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন) নীতিমালার বাইরে কতগুলো কলড্রপ হয়, তার বাইরে কতগুলো কলড্রপ হলো তা গ্রাহককে জানাতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একটি শর্টকোডের মাধ্যমে দ্রুত কল সেন্টার করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
‘গাইডলাইনের বাইরে যে কলড্রপ হচ্ছে তা গ্রাহককে জানান এবং ক্ষতিপূরণ দিয়ে এসএমএস দেন। এতে গ্রাহক মনে করে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে, না হলে মনে করে এরমধ্যে ফাঁক আছে, আমি কোনো ফাঁক রাখতে চাই না। ’
বর্তমানে মোবাইলফোন, টেলিফোন, ই-মেইলে অভিযোগ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে বলে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল গ্রাহকরা সিরিয়াস, মন্ত্রণালয় সিরিয়াস। এসয়ম বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসিও সিরিয়াস। বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোয়ালিটি অব সার্ভিসের উপর অত্যন্ত বেশি জোর দিয়েছি। কলের প্যারামিটার আছে, এজন্য একটা খুব শিগগিরই কল সেন্টার স্থাপন করবো।
সচিব বলেন, গ্রাহকদের এসএমএস দেন, এতে গ্রাহক সন্তোষ্ট থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এমআইএইচ/বিএস
** বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে অর্থ নিলে ব্যবস্থা
** মোবাইলের রিচার্জসীমা বিবেচনাধীন