ঢাকা: বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাত্র দেড় কোটি বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে আইসিটি ডিভিশন ও হাইটেক পার্ক অথরিটির যৌথ আয়োজনে এক কর্মশালায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র দেড় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী! বাংলাদেশের এ অবস্থা দেখে অবাক হয় বিশ্বের মানুষ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে গরমিল থাকায় অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তাই পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করা দরকার।
পলক বলেন, বাংলাদেশের আইসিটির বিভিন্ন খাত থেকে যে আয় হচ্ছে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (বিবিএস) সেসব হালনাগাদ তথ্য নেই। ফলে বিবিএস’র ওয়েবসাইটে বিশ্বের মানুষ দেড় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মতো ভুল তথ্য দেখে আমাদের আয়ের বিষয়ে জানতে পারেন না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ইন্টারনেট কানেকটিভি, বিভন্ন সফটওয়্যার তৈরি ও হার্ডওয়্যারের কাজে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। হার্ডওয়্যার খাত থেকে প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ডলার ও ফাইনান্স খাত থেকে ৫০ কোটি ডলার আয় করছি।
সব প্রযুক্তি কোম্পানিকে দেশে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য থেকে আয়ের তথ্য বিবিএসকে দেওয়ার অনুরোধ করেন পলক।
তিনি বলেন, প্রতিবছর ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা আউটসোর্সিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে। তাদেরকেও সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিবিএস’র জেনারেল ডিরেক্টর আবদুল ওয়াজেদ বলেন, বিবিএস তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে আগে কী অবস্থা ছিল, এখন কী আছে তা তুলে ধরে। যেমন- জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে, এ প্রবৃদ্ধি বিবিএস করেনি। অফিসিয়াল ডাটার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। গ্রোথ করে সরকার আর আমরা তার হিসাব রাখি।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক কবীর উদ্দীন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫
এমএন/জেডএস